প্রতিনিধি, যশোর: ভারতীয় ৮০ শিক্ষার্থীকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন প্রবেশে বাধা দেওয়ায় তারা বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন। এসব ভারতীয় কাশ্মীরি নাগরিক বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। এদের মধ্যে ৪০ জন ছাত্র ও ৪০ জন ছাত্রী।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ৮০ জন ছাত্র ভারতে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আসেন। খবর পেয়ে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয় কোনোভাবেই তাদের ওই নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ফলে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটকে থাকা ভারতীয়দের পাসপোর্টে এক্সিট সিল মারা হয়নি। সকাল থেকে আটকে থাকা নাগরিকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
আটকে থাকা দানিস আহম্মেদ, মোহাম্মদ আশেক, আবাদুর রাজ্জাক, সাকলাইন মোস্তাক, আনোয়ার, সালমানবাট, শাহাজাদী, রাফিকা, সোয়ারা জানান, তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক। তাদের বাড়ি কাশ্মীর। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে লেখাপড়া করেন তারা। করোনাভাইনাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ কলেজ বন্ধ হওয়ায় তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। তারা জানান, কী কারণে তারা বাড়িতে যেতে পারছেন না তা তারা জানেন না। ভারতীয় ইমিগ্রেশন তাদের গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। কেউ তাদের কিছু বলছেনও না।
এ ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব বলেন, ‘আমরা ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনকে জানিয়েছি। তারা কাউকে নেবেন না বলে জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এ থ্রি ও ই ক্যাটাগরির পাসপোর্ট ভিসা গ্রহণ করবেন।’ ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব অফিসার আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের কোনো বাধা নাই। ভারত সব বন্ধ করে দিয়েছে।