আতাউর রহমান:পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেক হোল্ডার এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গ্রাহকদের প্রদেয় হিসাবে ৮১ লাখ টাকা ঘাটতি পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে অন্য সুযোগ-সুবিধাসহ প্রতিষ্ঠানটির স্টক-ব্রোকার ও স্টক-ডিলার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নবায়ন স্থগিত রাখা হয়। পরে ব্রোকারেজ হাউসটি ঘাটতি সমন্বয় করে। এতে প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রেশন নবায়নের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এর আগে গত বছর ২১ নভেম্বর ডিএসই প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত পরিদর্শন করে। এসময় প্রাসঙ্গিক ডেটা পরীক্ষা করার সময় ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ব্রোকারেজের গ্রাহকদের প্রদেয় অবস্থানে ৮১ লাখ ২০৫ টাকার ঘাটতি খুঁজে পায়। পরে উল্লিখিত পরিস্থিতিতে ‘ডিএসই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০’ এবং বিএসইসির নির্দেশিনা অনুসারে ব্রোকারেজের ২২ নভেম্বর থেকে ঘাটতি সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত বিধান কার্যকর করা হয়।
পরে প্রতিষ্ঠানটি ঘাটতি সমন্বয় করলে পরিদর্শন করে ডিএসইর চিঠিতে বিএসইসিকে জানানো হয়েছে, ডিএসই ২১ নভেম্বর একটি নিয়মিত পরিদর্শনে প্রাসঙ্গিক
ডেটা ও নথিপত্র পরীক্ষা করার সময় ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এশিয়া সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের প্রদেয় অবস্থানে ৮১ লাখ ২০৫ টাকা ঘাটতি খুঁজে পেয়েছে।
পরবর্তীকালে ডিএসই চিঠির মাধ্যমে ২১ নভেম্বরের ঘাটতির বিষয়ে উল্লেখ করে কোম্পানির ওপর গত বছর ২২ মার্চ জারি করা বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত আরোপ করে। তবে কোম্পানি ডিএসইকে জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে ঘাটতি সমন্বয় করেছে। ডিএসইর একটি পরিদর্শন দল গত ১৬ জুলাই কোম্পানিতে স্পট পরিদর্শন করে এবং প্রাসঙ্গিক নথিপত্র পরীক্ষা করার সময় ১৩ জুলাই পর্যন্ত এশিয়া সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের প্রদেয় অবস্থানে পাঁচ হাজার ৬০৯ টাকা উদ্বৃত্ত পেয়েছে। এ বিষয়ে ডিএসই সব প্রাসঙ্গিক তথ্য ও নথিপত্র সংগ্রহ করেছে, যা পরে কমিশনে পাঠাবে।
গ্রাহকদের প্রদেয় অবস্থানে ঘাটতির কারণে সিকিউরিটিজ আইনের শর্ত আরোপের বিষয়ে উল্লেখ করে ডিএসই আরও জানিয়েছে, এখানে উল্লেখ্য যে, এশিয়া সিকিউরিটিজের স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-স্টক-ডিলার নিবন্ধন সার্টিফিকেটের মেয়াদ গতকাল (১৭ জুলাই) শেষ হয়েছে। ওপরে উল্লিখিত পরিস্থিতিতে ডিএসই কমিশনকে প্রতিষ্ঠানটির স্টক-ব্রোকার ও স্টক-ডিলার নিবন্ধন সার্টিফিকেট আবার নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএসইসি গত বছর ২২ মার্চ গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জকে লিমিটি সুবিধা স্থগিত করা হবে, যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে আইপিও কোটা সুবিধা বাতিল হবে, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার বিপরীতে পাওয়া লভ্যাংশ স্থগিত থাকবে এবং ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন এবং নতুন শাখা ও বুথ খোলা বন্ধ রাখা হবে।
এর আগে গত বছর ২১ মার্চ বিনিয়োগকারীদের আমানত, অর্থাৎ শেয়ার ও অর্থ সরিয়ে নেয়া তামহা সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এবং বানকো সিকিউরিটিজসহ ২৫টি ব্রোকারেজ হাউসের নিবন্ধন সনদ নবায়ন বন্ধসহ নানা সুযোগ স্থগিত করা হয়।