৮৬ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, ৬ স্তরের নিরাপত্তা

প্রতিনিধি, রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ২২৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৬ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর গোটা নির্বাচনজুড়ে ছয় স্তরের নিরাপত্তার পরিকল্পনা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনের আগের দিন গতকাল রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা বিফ্রিংয়ে বলেন, ‘রংপুর সিটিতে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন হবে মডেল নির্বাচন। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া মাঠে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।’ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে। গতকাল দুপুরের পর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সবশেষ অবস্থা জানিয়ে নুরে আলম মিনা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যকে নিরপেক্ষভাবে সার্ভিস রুল মেনে দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছে। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটালে তার দায়ভার প্রতিষ্ঠান নেবে না। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র‌্যাবের টিম থাকবে।’

স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র‌্যাব-পুলিশের টিম সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আর গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই বা এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ আনসার/ভিডিপি সদস্য (চারজন মহিলা ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে।’

এছাড়া ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান নূরে আলম মিনা।

মহানগরের ২২৯টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৪৯টি কক্ষে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন, পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।

এবার মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জনসহ সর্বমোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ২২৯ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং এক হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার থাকবেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০