শেয়ার বিজ ডেস্ক: এলিসিয়ান নামে নেদারল্যান্ডসের একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘ইনাইনএক্স’ নামের একটি টেকসই, দ্রুতগতির ও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। তাদের দাবি, উড়োজাহাজটি ৯০ যাত্রী নিয়ে পূর্ণ চার্জে ৫০০ মাইল পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে। খবর: সিএনএন। জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য পূরণ করতে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
আগামী এক দশকের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ জ্বালানি নির্গমন হ্রাস করতে সক্ষম এই নতুন প্রযুক্তির উড়োজাহাজটি। বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী উড়োজাহাজগুলো বাস্তবায়নের আগে ব্যাটারি প্রযুক্তিটির বিকাশ হওয়া প্রয়োজন। এলিসিয়ানের ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক রেইনার্ড ডি ভ্রিস বলেন, অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ফ্লাইটের সীমা, যাত্রী ও মালামাল বহনের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাটারি প্রযুক্তির বাইরে আরও বেশ কিছু জিনিস প্রয়োজন। বিদ্যমান যে ব্যাটারি প্রযুক্তি রয়েছে, তার কতটুকু সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যাবে, তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
এলিসিয়ান দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে একটি স্কেল মডেল এবং ২০৩০ সালের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোটোটাইপ তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এর ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্য কিছুটা বিস্ময়কর। এটি এমন একটি উড়োজাহাজ, যা ষাটের দশকের পুরোনো জেটগুলোর মতো দেখায়। ‘ইনাইনএক্স’-এর আটটি প্রপেলার ইঞ্জিন ও প্রায় ১৩৮ ফুটের একটি উইংস্প্যান থাকবে। বোয়িং বা এয়ারবাসের চেয়ে আকারে বড় এটি।
এই উড়োজাহাজের ডিজাইন করেছে নেদারল্যান্ডসের প্রাচীন ও বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয় ডেলফ্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। এর ব্যাটারিগুলো ফিউজলেজের পরিবর্তে ডানায় বসানো হবে।
উড়োজাহাজের ডানাগুলোয় ল্যান্ডিং গিয়ার ও উইংটিপস স্থাপন করা হবে, যা একা একা ভাঁজ হয়। এতে অনেকখানি জায়গা বাঁচবে।
ডি ভ্রিস আশাবাদী, বৈদ্যুতিক উড়োজাহাজে বায়ুদূষণের প্রভাব বর্তমান উড়োজাহাজের চেয়ে ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশ কম হবে। ইনাইনএক্স’ উড্ডয়নের জন্য বর্তমান বিমানবন্দর অবকাঠামোই যথেষ্ট হবে।