৯৯৯

মনে রাখুন নম্বরটি। জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কিংবা অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে আপনার মোবাইল ফোন থেকে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে। সম্পূর্ণ টোল ফ্রি কল করে কল সেন্টার এজেন্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ থেকে পাওয়া যায় সেবা। বাংলাদেশের নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস (৯৯৯) চালু করেছে সরকার।

বিশ্বের অনেক দেশে এমন সেবা চালু রয়েছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৯১১। ভারতে ১১২। ব্রিটিশরা ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক চালু করে ১৯৩৭ সালে। যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয় ১৯৬৮ সালে।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি উদ্যোগ ৯৯৯। ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় এটি। বর্তমানে এটি ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়ে থাকে। মানুষের জরুরি প্রয়োজনে সেবা দিতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। দেশের সব থানা, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসকে একটি প্রযুক্তিগত নেটওয়ার্কের আওতায় এনে ৯৯৯-এর সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করছে তারা। ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরি সিস্টেম চালু করা হবে। এতে করে সব ধরনের অভিযোগ তদারকি করা যাবে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় সহজ হবে।

জরুরি এ সেবার একটি মোবাইল অ্যাপও রয়েছে। অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে যঃঃঢ়ং://ঢ়ষধু.মড়ড়মষব.পড়স/ংঃড়ৎব/ধঢ়ঢ়ং/ফবঃধরষং?রফ=পড়স.সপপ.হযফ ওয়েবসাইট থেকে। বিশেষ শারীরিক চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য ৯৯৯ অ্যাপে বাংলায় ভয়েস সুবিধা চালুর পাশাপাশি চ্যাট বট চালু করা হয়েছে।

ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক চালুর পর থেকে এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪৬ জন জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করেছেন। তথ্যটি দিয়েছে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এসব ফোন কলের বেশিরভাগ এসেছিল পুলিশি সহায়তা পাওয়ার জন্য। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ফায়ার সার্ভিস-সংক্রান্ত।

আপনার কাছের মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের শেখান কীভাবে ও কখন ৯৯৯-এ ফোন করতে হবে। ন্যাশনাল হেল্প ডেস্কে আগত সব কলকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০