নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের মোট ৯টি সেতু ও ২টি সড়কে নভেম্বর থেকে বাধ্যতামূলক ইলেকট্রনিক টোল বা ই-টোল চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও বিষয়টি অবগত করেছে।
সওজ জানিয়েছে, সারাদেশে সওজ অধিদপ্তরের অধীনে ৯টি সেতু ও ২টি সড়কে ই-টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর কোনো যানবাহন ই-টোল ছাড়া টোল প্লাজা অতিক্রম করতে পারবে না।
নভেম্বর থেকে যেসব সেতুতে বাধ্যতামূলক ই-টোল দিতে হবে, সেগুলো হলোÑ১. কর্ণফুলী সেতু, চট্টগ্রাম, ২. মেঘনা সেতু, নারায়ণগঞ্জ, ৩. গোমতী সেতু, কুমিল্লা, ৪. ভৈরব সেতু, নরসিংদী, ৫. পায়রা সেতু, পটুয়াখালী, ৬. খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু, খুলনা, ৭. চরসিন্দুর সেতু, নরসিংদী, ৮. শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু, নরসিংদী এবং ৯. লালন শাহ সেতু, পাবনা।
এ ছাড়া নাটোরের আত্রাই টোল প্লাজা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক পার হতেও ই-টোল ব্যবহার করতে হবে। ই-টোল করা হলে ১০ শতাংশ টোল ছাড়াও দেয়া হবে।
ই-টোল দেয়ার পদ্ধতিÑ নেক্সাস পে, রকেট ও উপায় অ্যাপের মাধ্যমে ই-টোল দেয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংক এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমেও ই-টোল দেয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সওজ। এজন্য গুগলের প্লে স্টোর থেকে নেক্সাস পে বা উপায় অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
নেক্সাস পে-এর টোল কার্ডের ‘অ্যাড ভেহিকল’ অপশনে গাড়ির প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর কার্ডে টাকা যোগ করতে হবে। কার্ডের এই টাকা ব্যবহার করে ই-টোল দিতে হবে। সেতু বা মহাসড়কের ফাস্ট ট্র্যাক লেন ব্যবহার করতে এটি ব্যবহার করতে হবে।
উপায় অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে টোল পেমেন্ট অপশন বেছে নিয়ে গাড়ির সব তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই অ্যাপ দিয়ে ই-টোল দেয়া যাবে। এ ছাড়া *২৬৮# ডায়াল করে (গ্রামীণ, রবি ও বাংলালিংক থেকে) রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা ব্লু বুকের ছবি এবং রকেট অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে মেইল করতে হবে ৎড়পশবঃ.ঃড়ষষÑফঁঃপযনধহমষধনধহশ.পড়স-এ। রকেট রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে মোবাইলে *৩২২# ডায়াল করে টোল কার্ড নির্বাচন করতে হবে এবং রকেট অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স থেকে প্রয়োজনীয় টাকা টোল কার্ডে স্থানান্তর করে ই-টোল দেয়া যাবে।
এরে বাইরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের যে কোনো শাখা বা ফাস্ট ট্র্যাকে গিয়েও ই-টোল দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।