৯ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন বাড়াবে পাওয়ার গ্রিড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ হাজার কোটি টাকা মূলধন বাড়াবে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি তাদের অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা করবে। এ জন্য সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে কোম্পানির সংঘস্মারক সংশোধন করা হবে।
এদিকে গত ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে পরিচালনা পর্ষদ ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ জন্য
কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯, সকাল ১০টায়, মুক্তি হল, বিদ্যুৎ ভবন, ১ আবদুল গনি রোড, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের জন্য গতকাল কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ ছিল। আজ ফের শুরু হবে শেয়ারটির লেনদেন। সর্বশেষ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৪৯ টাকা ৭০ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় চার টাকা ৭৩ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১০৮ টাকা ১২ পয়সায়। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল চার টাকা ৩৩ পয়সা ও ৮৯ টাকা ৭৯ পয়সা। উল্লেখ্য ২০১৭ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৬ সালে দেয় ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৮) কোম্পানির ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৪৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল এক টাকা ৬৯ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১১৪ টাকা ২১ পয়সায়। যা আগের বছর একই সময় পর্যন্ত ছিল ৯৪ টাকা ২০ পয়সা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) পাঁচ দশমিক ১১। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত ১১ দশমিক ৪৮।
এ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৬ কোটি ৯ লাখ ১২ হাজার ৯৯১টি। কোম্পানির রিজার্ভে আছে ৬৩৮ কোটি তিন লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে, ১৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, দশমিক শূন্য এক শতাংশ বিদেশি ও চার দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।