নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৩ টাকা ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ২১৪ টাকা ৬৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৬৮ টাকা ৯৯ পয়সা ও ২১৬ টাকা ১৫ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায়, হোটেল আগ্রাবাদ, আগ্রাবাদ বানিজ্যিক এলাকা, চট্টগ্রামে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ মার্চ।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সালের জন্য কোম্পানিটি ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের চেয়ে ১৩০ শতাংশ বেশি। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৬৮ টাকা ৯৯ পয়সা এবং এনএভি ২১৬ টাকা ১৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৬৮ টাকা ৬৩ পয়সা ও ১৯২ টাকা ৩০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৮৩ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৮২ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি চার লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস করেছিল ১১ টাকা ৪৫ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল চার টাকা ৭৬ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ২০ টাকা ৫৬ পয়সা এবং মুনাফা ছিল ২৪ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ বা সাত টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৫৬৫ টাকায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৫৫২ টাকা ৭০ পয়সা। ওই দিন ৪৭১টি শেয়ার ৪৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজার দর সাত লাখ ৩২ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ার দর এক হাজার ৫৩০ টাকা থেকে এক হাজার ৯০০ টাকায় হাতবদল হয়।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২২ দশমিক ৫১ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৯ দশমিক শূন্য দুই।
কোম্পানিটির মোট এক কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৭ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ ও বাকি শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।