বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণার নির্দেশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে (বিএসসি) শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোম্পানিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জুন পর্যন্ত শেষ হওয়া গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি করা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনটিও শেয়ারহোল্ডারদের জানানোর নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।

এদিকে বিএসইসির নির্দেশনা দেওয়ার দিন নিম্নমুখী ছিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর। দিন শেষে প্রতি শেয়ারে তিন টাকা ৮০ পয়সা কমে লেনদেন হয় ৪৭০ টাকা ১০ পয়সায়। দর ওঠানামা করে ৪৭০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪৮২ টাকার মধ্যে। গত এক বছরের মধ্যে এ শেয়ার সর্বোচ্চ ৫২২ টাকা সর্বনিম্ন ২৮৫ টাকায় লেনদেন হয়।

১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। আর মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৫২.১০ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ৪৫.৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে। বাকি ২.৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে। এদিকে প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের দিকে তাকালে দেখা যায় প্রতিবছরই তারা নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই কোম্পানিটি ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। তবে এ লভ্যাংশে খুশি নন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিযোগ, শুধু ক্যাটাগরি টিকিয়ে রাখার জন্য কোম্পানিটি প্রতিবছর ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেয়। অন্যদিকে কোম্পানির মুনাফার দিতে তাকালে দেখা যায়, গত বছর প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মুনাফা করে। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল তিন কোটি ৩৬ লাখ। আর ২০১৩ সালে এ প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে মুনাফা বাড়ছে এ প্রতিষ্ঠানটির।

অন্যদিকে কোম্পানিটির গত এক মাসের লেনদেন চিত্রে দেখা যায় ৩০ দিন আগে শেয়ারের দর ছিল ৪৬৬ টাকা। এরপর টানা ছয় কার্যদিবস প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর নিম্ন মুখী হতে দেখা যায়। ছয় কার্যদিবসের ব্যবধানে শেয়ারের দর চলে আসে ৪৪২ টাকা ৫০ পয়সায়। পরের কার্যদিবসে দর বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৪৫২ টাকা ২০ পয়সা। এরপর আরেক দফা দর কমে শেয়ার চলে আসে ৪৩৮ টাকায়। এর পর থেকে আবারও দর বাড়তে থাকে। গতকালের আগে যার দর ছিল ৪৭৩ টাকা ৯০ পয়সা। যদিও গতকাল সোমবার সর্বশেষ কার্যদিবসে দর কমেছে তিন টাকা।

 

 

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০