শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অন্য স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের ন্যায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত (ডিএফকিউএফ) বাণিজ্য সুবিধা প্রদানে দেশটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেটের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এবং বাণিজ্য-বিষয়ক হাউজ ওয়েজ অ্যান্ড মিলস সাব-কমিটির চেয়ারম্যান দাভ রিচহাটের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে গত বুধবার বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
জিয়াউদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশকে ডিএফকিউএফ সুবিধা দেয় তাহলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আরও পণ্য রফতানিতে সক্ষম হবে। এতে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পাবে এবং চরমপন্থা দমনে বাংলাদেশ আরও সক্ষমতা অর্জন করবে।
বৈঠককালে জিয়াউদ্দিন কংগ্রেসম্যানকে অবহিত করেন যে, স্বল্পোন্নত ১৪টি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডিএফকিউএফ সুবিধাবঞ্চিত করায় বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে।বর্তমানে ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে ৩৪টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডিএফকিউএফ সুবিধা পাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত কংগ্রেসম্যানকে অবহিত করেন স্বল্পোন্নত ৪৮টি দেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ডিএফকিউএফ সুবিধা পাচ্ছে। তিনি বলেন, সুবিচার ও স্বচ্ছতার বিবেচনায় মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র অব্যই সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে।বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ সময় শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত সব ধরনের চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কংগ্রেসম্যানের কাছে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে
চলমান সহযোগিতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের তরফে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং অন্যান্য সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত অবহিত করেন যে, ৪০ লাখের বেশি গার্মেন্টস শ্রমিক গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করছে, যাদের গরিষ্ঠ অংশই নারী। তারা সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও চরমপন্থার ভীতি রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করছে, যাতে শিক্ষার্থীরা চরমপন্থার ধারণা থেকে রেহাই পায় এবং তারা সমাজে ভালোভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
Add Comment