নিজস্ব প্রতিবেদক : সাইবার ক্রাইম জ্যামিতিক হারে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইমের কোনো বোর্ডার বা সীমা নাই। পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে এই অপরাধ করা যায়। কিন্তু কে বা কারা করছে, তা জানা যায় না। আমেরিকার মতো দেশেও প্রতি চারজনে একজন এ ক্রাইমে আক্রান্ত হয়েছে। তাই এ ঝুঁকি এড়াতে সাইবার ক্রাইম বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে আয়োজিত ‘সাইবার সিকিউরিটি-এ বিজনেস ইম্পারেটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা জানান। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ও ওয়েবে কানেক্ট হওয়ার মানেই তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ইন্টারনেট ও ওয়েবে যুক্ত হলে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে। অনেক সময় ভুয়া (ফেক) অডিও-ভিডিও বের হতে পারে, যা ব্যবসার সুনাম নষ্ট করতে সক্ষম। তাই নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসায় করার জন্য সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। ডিএসই, সিএসইসিসহ পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম সাইবার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। সে কারণে কোনো সাইবার ক্রাইম হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নিরাপত্তা জরুরি।
তিনি জানান, ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কম্পিউটার বেজড। আর যে সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়, তা সিডিবিএলের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া বিএসইসির মনিটরিং করে সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে। কিন্তু এসব কাজ যদি সঠিক না হয় ও তথ্য কোনোভাবে লিকেজ হয় তাহলে দেখা যাবে আপনি অপকর্ম না করেও ফেঁসে যাচ্ছেন। তাই অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা দরকার।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বোঝা দরকার। বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে এ বিষয়ে অনেক কিছু জানা যায়। একইসঙ্গে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে কী ধরনের ও কী অ্যাটাক হতে পারে ইত্যাদি জানা যাবে; যা ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন করে চিন্তার জায়গা তৈরি করবে।
সেমিনারে বিএসইসির কমিশনার, নির্বাহী পরিচালক, স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার আয়োজন করে ইনফরমেশন সিস্টেমস সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএসএ)। এতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার প্রেসিডেন্ট মারুফ আহমেদ।
Add Comment