৩৫তম বিসিএস নন-ক্যাডার পদে ১৩৯ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৩৫তম বিসিএস-উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে আরও ১৩৯ জনকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। গতকাল (রোববার) বিকেলে এ সুপারিশ করা হয়। পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল প্রথম দফায় ৩৯৮ জনকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার প?দে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। প?রে গত মে মা?সে আরও ১৬০ জন?কে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এ নিয়ে মোট ৬৯৭ জন?কে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার প?দে নিয়োগের সুপারিশ করা হ?লো।

গতকাল নিয়োগের সুপারিশ করা ১৩৯ প্রার্থীর মধ্যে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পদে সবচেয়ে বেশি (৬০ জন) নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়া ৩৪ জনকে সাব-রেজিস্ট্রার পদে, ১০ জনকে সহকারী মহাপরিদর্শক পদে ও বা?কিদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পাসপোর্ট অধিদফতরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৭ আগস্ট ৩৫তম বিসিএসের ফল প্রকাশের পর ৩০ আগস্টই আমরা সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শূন্য পদের তালিকা চেয়েছি। ?বি?সিএস-উত্তীর্ণদের ম?ধ্য থে?কে বে?শি ক?রে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি। এখন পর্যন্ত মোট ৬৯৭ জন?কে প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন প?দে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। ঈদের পর আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির বিভিন্ন প?দে নিয়োগের সুপারিশ করব। আশা করছি, আবেদনকারীদের একটা বড় অংশই চাক?রি পাবে।’

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাঁচ হাজার ৫৩৩ জন উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে দুই হাজার ১৫৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে তিন হাজার ৩৫৯ জনকে নন-ক্যাডার পদের জন্য রাখা হয়। গত বছরের নভেম্বরে তাদের নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া হয়। নন-ক্যাডার পদের জন্য দুই হাজার ৭২৫ জন আবেদন করেন। এরপর পিএসসি নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য গত বছরের ৩০ আগস্ট সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। এছাড়া বেশিসংখ্যক প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদেও কোটা শিথিলের সুপারিশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে বিসিএসের মাধ্যমে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এজন্য ওই বছরের ১০ মে বিধিমালা (নন-ক্যাডার বিধিমালা, ২০১০) জারি করা হয়। বিধিমালায়, ‘শূন্য পদের ৫০ শতাংশ বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে’ বলে উল্লেখ রয়েছে। পরে ২০১৪ সালে এ বিধি সংশোধন করে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদেও বিসিএস-উত্তীর্ণদের নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা হয়। পরবর্তী বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত আগের বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়মেই ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত ৩৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০