শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এজন্য আগামী পাঁচ থেকে আট বছরে প্রতিদিন এক কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম উত্তোলন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
তেলের পাশাপাশি বাড়ানো হবে গ্যাসের উৎপাদন। ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমানের চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস উত্তোলন কোম্পানি আরামকো জানায়, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন এক কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম উৎপাদন করেছে তারা। এ সময় তাদের মুনাফা বাড়ে ১২৪ শতাংশ বা ১১ হাজার কোটি ডলার, এর আগের বছর যা ছিল চার হাজার ৯০০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়ে ৫০ শতাংশ। এসব কারণে আগামী মাস থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন উৎপাদিত তেলের পরিমাণ আরও ৩০ লাখ ব্যারেল বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে সবচেয়ে বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী ও অন্যতম লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরামকো।
উৎপাদন বাড়াতে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি বছর আরামকোতে অতিরিক্ত চার হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। সামনের বছরগুলোয় বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আগামী এক দশকের মধ্যে জ্বালানির উৎপাদন ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রাধান্য বিস্তার করতে চায় সৌদি আরব। এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো সেই পরিকল্পনার অংশ। তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় কাজ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সাল থেকে ধীরগতিতে চলা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরিয়ে আনা। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে বাড়ছে তেলের দাম। এছাড়া বিভিন্ন দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় জ্বালানির বিকল্প খুঁজতে বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। তাই এমন ঘোষণা দিল সৌদি আরামকো। জ্বালানি নিয়ে চিন্তিত বিভিন্ন দেশের নেতারা সৌদি আরবের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
