নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চামড়া খাতে ঋণ দিতে বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে চামড়া খাতের খেলাপি ব্যবসায়ীরা মাত্র দুই শতাংশ টাকা জমা দিয়েই ঋণ নিয়মিত করতে পারবেন। পাশাপাশি নতুন ঋণও নিতে পারবেন। তবে নতুন ঋণের টাকা দিয়ে আগের ঋণ শোধ করা যাবে না, যাতে চামড়া কিনতে নগদ অর্থের সংকট দেখা না যায়।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চামড়াশিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় অর্ধেক জোগান পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানি করা পশুর চামড়া থেকে আসে। এ সময় চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান নিশ্চিত করে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে চামড়াশিল্পের মূল্যবান কাঁচামাল সংরক্ষণের পাশাপাশি চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা প্রয়োজন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কোরবানির পশুর চামড়া কেনার জন্য ইতিপূর্বে বিতরণ করা কোনো ঋণ খেলাপি হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতার গুদামে স্টক অথবা সহায়ক জামানত থাকাসাপেক্ষে উক্ত খেলাপি ঋণের বিপরীতে ন্যূনতম দুই শতাংশ অর্থ এককালীন গ্রহণ করে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
পুনঃতফসিলীকরণের পর ব্যাংকিং নিয়ম মেনে ব্যাংকগুলো ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণগ্রহীতার সক্ষমতা যাচাইসাপেক্ষে চলতি বছর কোরবানি পশুর কঁাঁচা চামড়া কেনার জন্য ঋণ বিতরণ করতে পারবে।
ব্যাংকগুলো প্রতিবছরই কোরবানির চামড়ার কেনার জন্য ঋণ বরাদ্দ করে। কিন্তু এ বরাদ্দের বড় অংশই বিতরণ করা যায় না। কারণ, চামড়া খাতের ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ রুগ্ণ হয়ে পড়েছে।
গত বছর ঈদুল আজহার আগে সরকারি-বেসরকারি ৯ ব্যাংক এ খাতে বরাদ্দ রেখেছিল ৬৪৪ কোটি টাকা। কিন্তু বিতরণ হয় মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।