শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ফের কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের দাম ছিল ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সর্বনি¤œ পর্যায়ে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা চলতি বছরের শেষ দিকে বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা করছেন। এতে জ্বালানির চাহিদা কমবেÑএমন শঙ্কার কারণে কমছে তেলের দাম। এর আগে জুলাইয়ে চীন ও জাপানে উৎপাদন কম হয়েছে, এমন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর চলতি মাসের প্রথম দিনও তেলের দাম কমে। বিশ্বের তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও অন্য বড় তেল উৎপাদনকারী দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রাক্কালে জ্বালানি তেলের দাম কমে। খবর: রয়টার্স।
১ আগস্ট বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ১৯ ডলার বা ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে হয়েছে ১০২ দশমিক ৭৮ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দর প্রতি ব্যারেল এখন ৯৭ দশমিক ১৯ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৪৩ ডলার বা দেড় শতাংশ কমে।
গত বৃহস্পতিবার বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ড ক্রুড প্রতি ব্যারেল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ২ দশমিক ৬৬ ডলার কমে ৯৪ দশমিক ১২ ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পর সর্বনি¤œ দর। এদিন ডব্লিউটিআই ক্রুডের দর ২ দশমিক ১২ শতাংশ বা ২ দশমিক ৩৪ ডলার কমে ছিল ৯৩ দশমিক ১০ ডলার। জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ বিশ্বের জ্বালানি তেলের বড় ক্রেতা দেশগুলোয় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরবরাহে ঘাটতি ও বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল এসব দেশ।
চলতি বছরের শুরুতে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল ১২০ ডলারের বেশি উঠেছিল। মহামারির প্রকোপ কেটে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে থাকলে চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় সরবরাহ ঘাটতিতে দাম বেড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে চলছে মন্দাবস্থা। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো তাদের ঋণ পরিশোধ কীভাবে করবে, তা নিয়ে পড়েছে বিপাকে। এ ছাড়া বিশ্বে জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীনে শূন্য কভিড নীতির কারণে অর্থনীতির কার্যক্রম কমেছে। এসব কারণে চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় তেলের দাম কমছে।
