একটি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগ-প্রধানের সাফল্যের ওপর নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও’র সফলতা। সিইও সফল হলে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেশি হয়।খুশি হন শেয়ারহোল্ডাররা। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে সিইও’র সুনাম। প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও), কোম্পানি সচিব, চিফ মার্কেটিং অফিসারসহ এইচআর প্রধানরা থাকেন
পাদপ্রদীপের আড়ালে। টপ ম্যানেজমেন্টের বড় অংশ হলেও তারা আলোচনার বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। অন্তর্মুখী এসব কর্মকর্তা সব সময় কেবল প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকেন। সেসব কর্মকর্তাকে নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘টপ ম্যানেজমেন্ট’। শেয়ার বিজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এবার বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) কোম্পানি সচিব মো. আব্দুস সালাম খাঁন এফসিএস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. হাসানুজ্জামান পিয়াস
মো. আব্দুস সালাম খাঁন এফসিএস বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) কোম্পানি সচিব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকম ও এমকম সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। পরে তিনি চাকরির পাশাপাশি এমবিএ (ফাইন্যান্স), চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি (ইন্টারমিডিয়েট) ও চার্টার্ড সেক্রেটারি পেশাগত ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশের (আইসিএসবি) একজন সম্মানিত ফেলো
শেয়ার বিজ: ক্যারিয়ারের গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই।
মো. আব্দুস সালাম খাঁন: ১৯৯১ সালে হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করি। ১৯৯৩ সালে উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকায় ইন্টারনাল অডিটর হিসেবে যোগ দিই। ১৯৯৫ সালে সৌদি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে (সাবিনকো) অ্যাকাউন্টস এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ শুরু করি। ওই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১১ বছর কাজ করার পর ২০০৬ সালে জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ডেপুটি কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) কোম্পানি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এর মধ্যে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছি।
শেয়ার বিজ: পেশা হিসেবে কোম্পানি সচিবকে কেন বেছে নিলেন?
মো. আব্দুস সালাম: ক্যারিয়ারের শুরুতে ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলাম। তাই স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সিতে ভর্তি হই এবং আর্টিকেলশিপ সম্পন্ন করি। অতঃপর পরিকল্পনা মোতাবেক ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টিং পেশায় ক্যারিয়ার শুরু করি। ১৯৯৬ সালে শেয়ার বাজার ধসের পর বাংলাদেশে করপোরেট গর্ভনেন্সের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছিল। সেই সময় করপোরেট গভর্নেন্স বিষয়ে জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করি। জানতে পারি, করপোরেট গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠায় কোম্পানির পরিচালক ও অন্যদের পাশাপাশি কোম্পানি সচিবের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশে কোম্পানি সচিবদের পেশাগত ডিগ্রি হিসেবে সিএ বা আইসিএমএ-এর সমমর্যাদাসম্পন্ন চার্টার্ড সেক্রেটারি বা করপোরেট সেক্রেটারি কোর্স চালু রয়েছে। দেশগুলোয় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিগ্রি হিসেবে পরিচিত। এটি একটি বিশেষায়িত কোর্স যা কোম্পানি সচিবের দায়িত্ব পালনের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। আপনারা জানেন যে, কোম্পানি সচিব পদটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পদ। এ ডিগ্রি থাকলে কোম্পানি সচিব হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া সহজ হয়। বিষয়টি বিবেচনা করে বিদেশ থেকে কোর্সটি সম্পন্নের পরিকল্পনা করি। প্রসঙ্গত, সেই সময় বাংলাদেশে ওই কোর্সটি চালু ছিল না। ১৯৯৮ সালে হঠাৎ পত্রিকায় চার্টার্ড সেক্রেটারি কোর্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখার পর পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক কোর্সটি দেশেই সম্পন্ন করার সুযোগ পাই এবং প্রথম ব্যাচে ভর্তি হই। কোর্সটি করার সময় কোম্পানি সচিবের দায়িত্ব এবং ওই পদের মান-মর্যাদা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি। মূলত তখন থেকেই এ পেশার প্রতি আগ্রহ জন্মে। একটা সময় কোম্পানি সচিব পেশায় চলে আসি।
শেয়ার বিজ: আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাই।
মো. আব্দুস সালাম: বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) একটি কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক সাবমেরিন (ফাইবার অপটিক) ক্যাবলের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বের মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে উচ্চমানের ব্যান্ডউইডথ সমৃদ্ধ টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপিত হয় আমাদের সংস্থার মাধ্যমে। বর্তমানে বিএসসিসিএল-এর অধীনে রয়েছে ঝঊঅ-গঊ-ডঊ-৪ ও ঝঊঅ-গঊ-ডঊ-৫ শীর্ষক দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেব্ল্। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি দেশের একমাত্র সাবমেরিন কেব্ল্ অপারেটর। সাবমেরিন কেব্ল্ ব্যান্ডউইড্থ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিএসসিসিএল বিকাশমান সংস্থাগুলোর মাঝে একটি। এ কথা বলা যায় যে, বাংলাদেশে বিএসসিসিএল-এর সাবমেরিন কেব্ল্ই হচ্ছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের মূল অবকাঠামো। তাছাড়া বিটিআরসি থেকে আইআইজি লাইসেন্স পেয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। ১ জুলাই ২০১৩ থেকে বাণিজ্যিকভাবে আইআইজি কার্যক্রম চলমান রয়েছে এখানে। এ নতুন সার্ভিস চালুর মাধ্যমে আমরা তুলনামূলক বেশি রাজস্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ২০০৮ সালের ৩০ জুন সরকারের সঙ্গে ভেন্ডর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১ জুলাই ২০০৮ হতে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। ২০১২ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য ১০ জিবিপিএস আইপি ব্যান্ডউইডথ রফতানি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা ২৩ মার্চ ২০১৬ সালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নেই। প্রতিষ্ঠানটির সুন্দর কর্মপরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদের দক্ষতা একে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। আমরা শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ করছি। আমরা আইসিএসবি ও আইসিএমএবি থেকে করপোরেট গভর্নেন্স এক্সিলেন্সের জন্য টানা তিনবার পুরস্কার পেয়েছি। এটি পুঁজিবাজারে ট্রিপলএ ক্রেডিট রেটিং প্রাপ্ত ও ‘এ’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক দায়িত্ব পালন করছে।
শেয়ার বিজ: কোম্পানি সচিব হতে হলে চার্টার্ড সেক্রেটারি ডিগ্রির প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?
মো. আব্দুস সালাম: বর্তমানে পেশাগত ডিগ্রি ছাড়া যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করা কঠিন। কোম্পানি সচিবের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। বর্তমানে কোম্পানি সচিব বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পেশা বেশ চ্যালেঞ্জিং, এক্ষেত্রে কর্মরতদের সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য আর্থিক, বাণিজ্যিক, আইনসহ সমসাময়িক অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, যা পেশাগত ডিগ্রি চার্টার্ড সেক্রেটারি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে সম্ভব। কোম্পানি সচিব পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুকদের এ ডিগ্রি খুব সহজেই তার লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। কোর্সটিতে প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতে-কলমে শেখানো হয়। এসব কারণে পরে চার্টার্ড সেক্রেটারিরা কর্মক্ষেত্রে স্বল্প সময়ে দক্ষ হয়ে ওঠেন। একজন চার্টার্ড সেক্রেটারি কোম্পানি আইন, কমপ্লায়েন্স, সিকিউরিটিজ আইন, ফাইন্যান্স ও ড্রাফটিং সম্পর্কে আগে থেকেই ওয়াকিবহাল থাকেন। তাই নিয়োগের বেলায় কোম্পানি সচিব পদে একজন চার্টার্ড সেক্রেটারিকে বেছে নেন নিয়োগদাতারা।
শেয়ার বিজ: প্রতিষ্ঠানে সচিবের গুরুত্ব কেমন?
মো. আব্দুস সালাম: কোম্পানি সচিবের গুরুত্ব অপরিসীম। কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার, ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ও পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করেন তিনি। শেয়ারহোল্ডার-বিনিয়োগকারীরা সচিবের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। পর্ষদ সভায় কোম্পানি সচিব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত সচিবই সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার। প্রতিষ্ঠানে সঠিকভাবে কমপ্লায়েন্স কমপ্লাই করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন সচিব। তা ছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানে সচিব বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য বলা যায়, প্রতিষ্ঠানে তার গুরুত্ব রয়েছে।
শেয়ার বিজ: সরকারি প্রতিষ্ঠানে একজন সচিবের জন্য চ্যালেঞ্জিং বিষয় কী?
মো. আব্দুস সালাম: সরকারি প্রতিষ্ঠানে একজন সচিবের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা প্রায়ই পরিবর্তন হন। তাই পরে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। সব ব্যক্তিরই স্বতন্ত্র স্টাইল রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন এলে বোর্ডের পরিকল্পনা ও কর্মপদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসে। তখন অল্প সময়ের মধ্যে মানিয়ে নেওয়াটাই মূল চ্যালেঞ্জ। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলির সময় কোম্পানি সচিবের কাজ বেড়ে যায়। নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তখন। একটা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলে, কাজের একটা ধারা তৈরি হওয়ার পর কিছু দিনের মধ্যে আবার নতুন ম্যানেজমেন্টকে বুঝে ওঠা, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা বিষয়গুলো বেশ চ্যালেঞ্জের। সরকারি কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে সাধারণত সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব বা সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনোনীত হন। অনেক সময় নানা প্রতিকূলতার কারণে তাদের সেবা প্রদান করা ভীষণ চ্যালেঞ্জের। আবার অনেকে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে ইতস্তত বোধ করেন বা তাদের নির্দেশনাগুলো বুঝতে একটু সময় লাগে। সেক্ষেত্রে সচিবকে অনেক সাহসী হতে হয়। সব আইন-কানুন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে বুঝে তাদের জানাতে হয়। এসব কিছুর মধ্যেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
শেয়ার বিজ: পেশা হিসেবে কোম্পানি সচিবকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
মো. আব্দুস সালাম: খুবই সম্মানজনক পেশা। পদটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদ হিসেবে বিবেচিত। কোম্পানি সচিবকে টপ ম্যানেজমেন্ট ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। তাই তার অনেক কিছু শেখার সুযোগ আছে। নিজেকে উন্নত করা যায়। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। আমি এ পেশার জন্য গর্ববোধ করি।
শেয়ার বিজ: যারা এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী, তাদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কী?
মো. আব্দুস সালাম: কোম্পানি সচিব পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুকদের বলতে চাই, কিছু মৌলিক গুণ যেমন ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগ দক্ষতায় পটু এমন ব্যক্তিদের এ পেশায় আসা উচিত। কারণ কোম্পানির নানা আইনকানুন, নিয়মনীতি বই পড়ে জানা সম্ভব। তবে ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগ দক্ষতায় দুর্বল হলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন তিনি। সাধারণ জ্ঞান ভালো থাকতে হবে। আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী হতে হবে।
শেয়ার বিজ: বিভিন্ন মতের মানুষের সঙ্গে আপনাকে কাজ করতে হয়। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে আপনার মূলমন্ত্র কী?
মো. আব্দুস সালাম: ব্যবহার ও ধৈর্য। ধৈর্য ও ভালো আচার আচরণের মাধ্যমে যে কোনো মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। কাউকে আঘাত করে কথা বলা যাবে না। অন্যকে কথা বলার সুযোগ করে দিতে হবে। মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শুনতে হবে। অন্যের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যেতে হবে। কাউকে ছোট করা বা ভাবা যাবে না। এ কাজটাই করি আমি।
শেয়ার বিজ: সফল কোম্পানি সচিব হতে আপনার পরামর্শ কী?
মো. আব্দুস সালাম: সফল হতে হলে ইচ্ছা থাকাই যথেষ্ট। ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হবেই। আমি বলবো, কেউ যদি সফল হতে চান, তবে প্রথমত ইচ্ছা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, পরিশ্রমী হতে হবে। কঠোর পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে পৌঁছানো সম্ভব। জানার আগ্রহ থাকতে হবে। ধৈর্যশীল হতে হবে। অভিজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
Add Comment