নিজস্ব প্রতিবেদক : ইন্টারনেট সেবার মান নিশ্চিত করা ও অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই অভিযানে নামছে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। পাড়া-মহল্লায় ছোট-বড় পরিসরে ইন্টারনেট সেবা দিতে হলেও বিটিআরসি থেকে ‘আইএসপি লাইসেন্স’ নিতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে এবং ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধি করতে লাইসেন্স গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে কমিশন।
সম্প্রতি বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংস্থার মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইএসপি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন নামে অসংখ্য লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তি অবৈধভাবে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে আসছে, যা আইএসপি লাইসেন্সিং ও গাইডলাইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে সেবার মান খারাপ হচ্ছে এবং এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
এনটিএমসি ও পুলিশের তথ্য দিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনেক আইএসপি প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত যথাযথভাবে আইপি লগ সংরক্ষণ করছেন না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। এছাড়া কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনেক আইএসপি প্রতিষ্ঠান আইপিটিভি বা লাইভ টিভি সার্ভিস প্রদান করছে। এ বিষয়ে সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় সতর্ক করেছে বিটিআরসি। টিও নম্বর ছাড়া অন্য সব অবৈধ অ্যাসোসিয়েশন বিষয়ে কমিশন সতর্ক করেছে।
যদি কোনো আইএসপি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে আইপি লগ সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকে তাহলে সেসব আইএসপি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফেক আইডি ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে গ্রাহকদের অনুকূলে নিবন্ধনকৃত আইপি যাচাই-বাছাই করতেও নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আইপি লগ ও অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের বিষয়ে খুব দ্রুতই পুলিশ ও র্যাব নিয়ে অভিযান চালানো হবে বলেও জানিয়েছে বিটিআরসি।
ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিয়ে অনেকেই সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়ে বিটিআরসি বলেছে, এ বিষয়ে সব লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
Add Comment