অতি পরিচিত একটি সবজি ঝিঙ্গা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত এ ঝিঙ্গা। এটি বাংলাদেশের পাশাপাশি চীন ও ভিয়েতনামে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ঝিঙ্গা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
গুণ
প্রতি এক কাপ বা ১৭৮ গ্রাম খাদ্য উপযোগী ঝিঙ্গায় পাবেন ১০০ কিলোক্যালোরি। প্রোটিন ১.১৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২৫.৫৩ গ্রাম, ফাইবার ৫.২০ গ্রাম, চিনি ৯.২ গ্রাম। ভিটামিনের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, বি২, বি৫ ও বি৬, ও ভিটামিন সি রয়েছে। খনিজের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ ০.৩৯৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৮০৬ মিলিগ্রাম, কপার ০.১৫১ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৬৪ মিলিগ্রাম, ও ফসফরাস ৫৫ মিলিগ্রাম পরিমাণে থাকে। এছাড়া ঝিঙ্গায় শরীরের জন্য উপকারী বেশ কিছু খাদ্যগুণ রয়েছে। তাই এটি শরীরের নানা রোগ বালাই থেকে রক্ষা করাসহ রোগ-প্রতিরোধে শক্তিশালী করে তোলে। আসুন জেনে নেয়া যাক ঝিঙ্গার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
উপকারিতা
ঝিঙ্গাতে উপস্থিত ‘ভিটামিন এ’ চোখের নানা জটিল রোগের সমাধান করে
কার্ডিওভাস্কুলারের রোগ থেকে রক্ষা করে
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে
মাংসপেশির ব্যথা দূর করে
বাতব্যথা কমাতে সাহায্য করে
ত্বকের যত্নে ভালো করে
ঝিঙ্গায় থাকা ফোলেট হার্ট অ্যাটাক রোধেও সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ ঝিঙ্গা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও পেট পরিষ্কার করে
ঝিঙ্গায় থাকা খাদ্যশক্তি আপনার দেহের দুর্বলতা কাটিয়ে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
এর জলীয় অংশ দেহের পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে
এতে থাকা ভিটামিন সি এন্টিঅক্সিডেন্টকে শক্তিশালী করে। রোগ-প্রতিরোধে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে
পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ থাকায় হজমে সহায়তা করে। গ্যাসের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে
ঝিঙ্গা রক্তে প্রবাহিত ক্ষতিকর কোলেস্টরেল দূর করতে সাহায্য করে
নিয়মিত ঝিঙ্গা খেলে আপনার লিভার সুরক্ষিত থাকবে
ঝিঙ্গায় উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি এর উপস্থিতি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সহায়তা করে।
ঝিঙ্গা মাইগ্রেনের সমস্যা সমাধানে বেশ ফলদায়ী
হাসানুজ্জামান পিয়াস