নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ঋণ/লিজ/বিনিয়োগের সুদ অথবা মুনাফার হার এবং অন্যান্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ফি/চার্জ/কমিশনের পূর্ণ তালিকা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে ও শাখাসমূহের দর্শনীয় স্থানে প্রদর্শন এবং নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। তবে কতিপয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহের লক্ষ্যে পেশাজীবীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের গ্রাহকের কাছে মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠাচ্ছে; যা কাক্সিক্ষত নয়। কোনো কোন ক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে এখন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উচ্চ সুদহারে আমানত সংগ্রহের প্রচেষ্টা হতে বিরত থাকার জন্য সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুলাই থেকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদহার ছয় শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। সম্প্রতি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সভায় বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহারও কমাতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার না কমালে আমানত ব্যাংকে না এসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চলে যাবে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহারও কমানো হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মেসেজ পাঠিয়ে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ বন্ধ করতে হবে
