শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিসরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ বছরে দুই শতাংশ থেকে বেড়ে পাঁচ দশমিক চার শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে পৌঁছাবে বলে গত শনিবার জানান তিনি। খবর সিনহুয়া।
২০১৩ সালের ৩০ জুন সংঘটিত সেনাবাহিনীর অভুত্থানের পাঁচ বছরপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা জনান। ওই অভুত্থানের মাধ্যমেই তৎকালীন ইসলামপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুরসিকে আটক করে সিসি ক্ষমতায় আসেন।
ওই অভুত্থানের উল্লেখ করে সিসি বলেন, মিসরের ইতিহাসে দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শয়তান ও সন্ত্রাসের হাত থেকে এ দিন শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের দিকে মিসর অগ্রসর হয়েছে। তিনি বলেন, মিসরের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০১৩ সালে ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলার। এখন এটি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। মিসরের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রিজার্ভ।
মুরসি আটকের এক বছর পর ২০১৪ সালের মাঝামাঝি ক্ষমতায় বসেন সিসি। গত এপ্রিলে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি। মুরসি আটক হওয়ার পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় মিসরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জে পড়েছিল। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে মিসরের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭ সালের শেষের দিকে এটি বেড়ে ৮২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ২০১৬ সালের শেষের দিকে মিসর সরকার তিন বছরমেয়াদি অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানো ও কর বৃদ্ধির মতো উদ্যোগ রয়েছে। এ সংস্কার কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় দেশটি, যার দুই তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে সরবরাহ করেছে সংস্থাটি।
পাঁচ বছরে মিসরের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে
