শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের ওপর সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য প্রচার শুরু করেছে। তেল রফতানি থেকে আয় শূন্যে নামিয়ে এনে ইরানকে কোণঠাসা করতেই যুক্তরাষ্ট্রের এ চেষ্টা। খবর আলজাজিরা।
গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি পরিকল্পনা পরিচালক ব্রায়ান হুক বলেন, ইরান কোনো স্বাভাবিক রাষ্ট্র নয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে দেশটিকে অবশ্যই ১২ দফা শর্ত মানতে হবে।
ব্রায়ান হুক বলেন, স্বাভাবিক কোনো রাষ্ট্র অন্য দেশকে সন্ত্রাসায়িত করে না, ক্ষেপণাস্ত্র বৃদ্ধি করে না এবং নিজেদের জনগণকে নিঃসম্বল করে না। যুক্তরাষ্ট্রের এ নীতি ইরানের শাসক পরিবর্তনের জন্য নয়। এটা ইরানের শাসকদের আচরণ পরিবর্তন করানোর জন্য। ইরানের জনগণ সত্যিকার অর্থে যা চায় তা যেন দেশটির শাসক করতে বাধ্য হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্ন্যাপ ব্যাক নামের নিষেধাজ্ঞা ৪ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য থাকবে ইরানের গাড়ি খাত এবং সোনাসহ অন্যান্য ধাতব বস্তুর বাজার। ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় আরেকটি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হবে ইরানের জ্বালানি খাত। বিশেষ করে তেলবিষয়ক লেনদেন ও ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লেনদেন।
ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রাম্প সরিয়ে নেওয়ার দুই মাসের মাথায় এ পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের পরমাণু চুক্তির বদলে নতুন চুক্তির জন্য তেহরানকে রাজি করানোর জন্য এ চাপ প্রয়োগ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোকে ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি বাতিল করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। যাতে করে চাপে পড়ে ইরান নতুন চুক্তি করতে সম্মত হয়।
ব্রায়ান হুক জানান, ইউরোপিয়ান মিত্র ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে এ সপ্তাহের শেষদিকে ইরান ইস্যুতে আলোচনা করবেন। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সামনের দিনগুলোতে আরব উপসাগরীয় দেশগুলো সফর করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের তেল রফতানি থেকে আয় শূন্যে নামিয়ে আনতে সবগুলো দেশকে রাজি করানো। এরই মধ্যে ৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইরানের জ্বালানি ও আর্থিক খাত ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
