নুর আলম হিমেল: বাংলাদেশে গবেষণা খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ। ১৮ বছর ধরে দেশ ও দেশের বাইরে গবেষণা ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে চলেছে এ বিভাগ।
১৯৯৮ সালে চারজন শিক্ষক ও ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিভাগটি। অধ্যাপক এসএম বদিয়ার রহমান, অধ্যাপক আবুল খায়ের, অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেনÑ এ তিন শিক্ষকের প্রচেষ্টায় বিভাগটি খ্যাতি লাভ করেছে।
বর্তমানে এখানে ২৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। এমফিল করছেন ১০ জন শিক্ষার্থী। পিএইচডিরত ২৯ জন। পাস করা শিক্ষার্থীরা গবেষণার উদ্দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়া, জাপান, জার্মানি, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়ামসহ নানা দেশে।
বিভাগটিতে প্রাণরসায়ন, অনুপ্রাণ বিজ্ঞান ছাড়াও মেডিক্যাল সম্পর্কিত বিষয় যেমনÑ মানব শারীর-বিদ্যা, স্নায়ুুবিজ্ঞান রসায়ন, কোষবিজ্ঞান, অনুজীব বিদ্যা, ভাইরাস বিদ্যা, রোগশয্যা বিদ্যা, বিপাকক্রিয়া সম্পর্কিত বিদ্যা, উদ্ভিদ রসায়ন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জীব ও প্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞানদান করা হয়।
এ বিভাগে উচ্চতর গবেষণাধর্মী কাজের মধ্যে রয়েছেÑ বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ, মলিকুলার লেভেলে জিন পলিমরফিজম, এনিমেল বিহ্যাবিয়ার, অলটারনেটিভ মেডিসিন বা ওষুধের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রোগ নিরাময়।
‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ (আইসিডিডিআর,বি), বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনলজি (এনআইবি), পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিসহ বিভিন্ন নামি-দামি প্রতিষ্ঠানে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা গবেষণা করছেন।
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পূজা বিশ্বাস বলেন, এ বিভাগে পড়তে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। বর্তমানে আমি ‘কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ’-এর সঙ্গে লিপোপ্রোটিনের সম্পৃক্ততা নিয়ে গবেষণা করছি। এরই মধ্যে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাসকেচোয়ানতে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছি।
এ বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ বলেন, ছোটবেলা থেকে গবেষণার প্রতি আমার তীব্র আকর্ষণ ছিল। এ বিভাগে ভর্তি হয়ে আমি সুযোগটি পেয়েছি।
প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সাবির হোসেন বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ প্রচেষ্টায় আমাদের বিভাগ আজ উন্নত মানের গবেষণাধর্মী বিভাগে পরিণত হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে আমাদের বিভাগ আরও এগিয়ে যাবে এবং দেশে ও বিদেশে গবেষণা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
বিভাগীয় প্রথম সভাপতি অধ্যাপক এসএম বদিয়ার রহমান বলেন, বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকরা যদি তৎপর থাকেন, এ বিভাগের গবেষণা কার্যক্রম আরও বেশি ত্বরান্বিত হবে।
Add Comment