নিজস্ব প্রতিবেদক: পানগাঁও কাস্টম হাউজে প্রায় দেড় কোটি টাকার জুয়েলারি পণ্য ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে প্রায় দুই কোটি টাকার মেশিনের চালান আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গতকাল এসব চালান আটক করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পানগাঁও কাস্টম হাউজে ৫ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারত থেকে আমদানি করা জুয়েলারি পণ্যসহ বেশকিছু পণ্যের একটি চালান আটক করা হয়। চালানে প্যাডলক, বিন্দি, প্লাস্টিক ক্লিপ, পায়েল, প্লাস্টিক চুড়ি, ইমিটেশন জুয়েলারি, পেন কেক, ফেইস পাউডার, ক্রিম লাইট পার্টস ও স্টিল চেইন পণ্য ছিল। রাজধানীর সোয়ারীঘাট এলাকার রোসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য আমদানি করে। চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ককর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছেÑএমন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সাট করপোরেশনের মাধ্যমে ২০ হাজার ৫৬০ কেজি পণ্য ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় ২৪ হাজার ৯৯৯ কেজি পণ্য পাওয়া যায়। চালানে ঘোষণার অতিরিক্ত সাত হাজার ৩২৯ কেজি পণ্য পাওয়া যায়। আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পণ্যের মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা এবং শুল্ককর প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। কায়িক পরীক্ষা অনুযায়ী পণ্যের মূল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। শুল্ককর প্রায় ৫৪ লাখ টাকা। শুল্ককরসহ পণ্য মূল্য প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ বিষয়ে আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ড. সহিদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে মিথ্যা ঘোষণার একটি মেশিন চালান আটক করা হয়। উত্তরার বিসমিল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১ জুন চালানটি আটক করা হয়। জেপি এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিভিন্ন মেশিনের পার্টস ঘোষণা দিলে কায়িক পরীক্ষায় মেশিন পাওয়া যায়। ঘোষণার চালান মূল্য প্রায় ৮৭ লাখ টাকা হলেও কায়িক পরীক্ষায় শুল্ককরসহ পণ্যমূল্য প্রায় এক কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।