নিজস্ব প্রতিবেদক: শুল্কমুক্ত সুবিধার মদ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে অভিজাত উত্তরা ক্লাবের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা ক্লাবে অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার পাঁচ হাজার বোতল মদ জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গতকাল এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ক্লাবের একটি কক্ষের তালা ভেঙে বিভিন্ন ধরনের মদ জব্দ করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। উত্তরা ক্লাবের বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রায় ৩৩ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ক্রয়ে ভ্যাট ও মদ বিক্রির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।
তিনি জানান, উত্তরা ক্লাবের বিরুদ্ধে অবৈধ ও শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা মদ বিক্রির অভিযোগ পায় এনবিআর। এনবিআরের নির্দেশে গতকাল শুল্ক গোয়েন্দার অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সহায়তা করেনি। পরে কর্মকর্তা ক্লাবের একটি কক্ষের তালা ভেঙে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের তিন হাজার ৪৫ বোতল ও দুই হাজার ৫০০ ক্যান বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, হুইস্কি, ওয়াইন, ভোদকা এবং বিয়ার জব্দ করা হয়। কর্তৃপক্ষ এসব মদের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসব মদ আমদানি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
অপরদিকে উত্তরা ক্লাবের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সম্প্রতি মূসক নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অভিযান চালায়। পরে কাগজপত্র যাচাই করে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটন করে। ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যথাযথভাবে ভ্যাট পরিশোধ না করে ২৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছে। পণ্য ও সেবা ক্রয়ের বিপরীতে এসব ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়। এছাড়া মদ-বিয়ার বিক্রির ওপর সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ না করে প্রায় দুই কোটি ৯৯ লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছে।
উত্তরা ক্লাবে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযান
