মুন্সীগঞ্জের অনেক স্থানে নারীরা নকশিকাঁথা সেলাই করেন। তারা সংসারের দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে কাঁথা তৈরির পেছনে সময় দেন।
পুরোনো কাপড় আর সুই-সুতা এখন তাদের অবসর সময়ের সঙ্গী। শিল্পকলার নিদর্শন হাজার বছরের প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে এ শিল্পটি। অতীতে তৈরি কাঁথার ওপর বিচিত্র নকশা করার রেওয়াজ ছিল গ্রামবাংলার অনেক ঘরে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সবকিছু বদলে দিচ্ছে। কম্বলের আধিপত্যে এই কাঁথাশিল্পে কিছুটা ভাটা পড়লেও পরম্পরায় নারীরা এ ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছে।
মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁথা তৈরির ধুম পড়ে গেছে। ভোরের আলো জমিনে পড়ার আগেই নাওয়া-খাওয়া সেরে বয়স্ক, গৃহবধূ ও তরুণীরা পুরোনো কাপড় আর সুই-সুতা নিয়ে বসে পড়েছেন বাড়ির উঠোনে কিংবা ঘরের মেঝে অথবা খোলা স্থানে। এ শিল্পটি সম্পূর্ণ নারীনির্ভর। বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীরাই এ কারুশিল্পে বিশেষ পারদর্শী। কাঁথাশিল্প এদের প্রথাগত কোনো বিদ্যা নয়। বাড়ির প্রবীণ নারীদের কাছ থেকে ছোটরা শিখে নেন কাঁথা তৈরির কলাকৌশল। এভাবেই চলে আসছে নারীদের নকশিকাঁথা শিল্পের পরম্পরা। শুধু ব্যবহারের জন্যই নয়, এ শিল্পকে কাজে লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে চলছে অনেক পরিবার।
শেখ মোহাম্মদ রতন