ক্রীড়া ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবেছে টাইগাররা। অবশ্য এর দায়টা তামিম ইকবালরা তুলে নিয়েছেন নিজেদের কাঁধে। আবার ভক্তদের তারা কথাও দিয়েছেন অ্যান্টিগার দুঃস্বপ্ন ভুলে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া জ্যামাইকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবেন। সে লক্ষ্য নিয়েই সিরিজের শেষ টেস্টে নামছে সাকিব আল হাসানের দল।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল এক ইনিংস ও ২১৯ রানে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এমনটা হয়েছে, যা সবার মতো স্বীকার করে নিয়েছেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তবে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া তার ঘরের মাঠে শিষ্যরা ভালো করবে বলে বিশ্বাস করেন ক্যারিবীয় সাবেক এ পেসার। জ্যামাইকার স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলকে এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম টেস্ট খারাপ হয়েছে। আমরা ভালো করতে পারিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো খেলছে। তবে আরেকটি টেস্ট আছে। আমাদের সুযোগ আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। আশা করি আমরা যতটা পারি ভালো খেলব। উন্নতি করতে পারব। অবশ্যই এটি বড় এক পরীক্ষা। দেশের বাইরে আমাদের রেকর্ড ভালো নয়। আমরা চেষ্টা করব সেটি ভালো করার।’
সাবেইনা পার্কেই ২০০১ সালে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ওয়ালশ। এটি তার নিজের জš§ভূমিও। ৫১৯ উইকেটের পাহাড়ে উঠে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ কিংবদন্তি। সাবেইনা পার্ক তাই ওয়ালশের ক্যারিয়ারের জন্য বিশেষ স্মৃতি। সেই স্মৃতি দলের পেসারদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। যাতে সবাই উদ্দীপ্ত হয়। ওয়ালশ বলেন, ‘হ্যাঁ, ওদের এই টেস্ট উপভোগ করতে বলেছি। বলেছি, এটা পেসারদের জন্য বড় সুযোগ। নিজেদের প্রমাণ করো। আমি এই টেস্টের দিকে তাকিয়ে আছি।’
প্রথম টেস্টে শিষ্যদের বোলিং নিয়েও খুশি নন ওয়ালশ। জ্যামাইকায় শিষ্যদের জ্বলে উঠতে দেখতে চান তিনি। এ ব্যাপারে সাকিবদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করতে হবে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের জন্য এটি আরেকটি ভালো সুযোগ। সাবেইনা পার্কে কীভাবে বল করতে হয়, এখানকার যতটুকু আমি জানি, অবশ্যই ওদের অবশ্যই জানাব। আশা করি মাঠে গিয়ে ওরা সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারবে।’
অ্যান্টিগা টেস্টের মতোই সবুজ উইকেট জ্যামাইকাতেও থাকবে বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশের বোলিং কোচÑ‘অবশ্যই অ্যান্টিগার মতো উইকেট প্রত্যাশা করছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের সুবিধামতোই উইকেট বানাবে। এখানেও সিমিং উইকেটের প্রত্যাশা করছি।’
ওয়ালশের কাছে আজকের টেস্ট বাংলাদেশ দলের জন্য বড় পরীক্ষা। কেননা, হারলেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হবে। একই সঙ্গে সিরিজও হবে হাতছাড়া। যে কারণে টাইগারদের বোলিং কোচ চাইছেন, আগের ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে ভালো কিছুর লক্ষ্যে মাঠে নামা। সেটা জয় কিংবা ড্র।