ক্রীড়া ডেস্ক: বিশ্বকাপে সব দলেরই লক্ষ্য থাকে শিরোপায়, কিন্তু সেখানে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম নামছে তৃতীয় হতে! কিন্তু কেন? আসলে সেমিফাইনালের লৌহকপাট ভাঙতে পারেনি ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। ইংলিশদের কাঁদিয়ে প্রথমবারের প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে বেলজিয়ামের স্বপ্ন ভেঙে শিরোপা লড়াইয়ে মঞ্চে উঠে যায় ফ্রান্স।
রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমি হারায় আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম। এর আগে চলতি বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হয়েছিল গ্রæপ পর্বে, যে ম্যাচে ১-০ গোলে ইংলিশদের হারিয়ে
দিয়েছিল বেলজিকরা।
১৯৩০ সাল থেকেই বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হয়ে আসছে নিয়মিত। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারবার তৃতীয় হয়েছে জার্মানি। প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে পড়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। দলটি ১৯৩৪, ১৯৭০, ২০০৬ ও ২০১০ সালে তৃতীয় হয়। দুবার তৃতীয় হয় ব্রাজিল ১৯৭৮ ও ২০১০ সালে। সুইডেন দুবার তৃতীয় হয় ১৯৫০ ও ১৯৯৪ সালে। এবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম এর আগে আরও একবার স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলেছিল। ইংল্যান্ড খেলেছিল ১৯৯০ সালে। স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় ৪-২ গোলে। তার আগের আসরে ১৯৮৬ সালে বেলজিয়ামকে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ২-১ গোলে হারায় ইতালি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বেলজিয়াম অধিনায়ক ইডেন হ্যাজার্ড স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সেরাটাই খেলবে বলে জানিয়েছেন, ‘আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তারপরও আমরা তৃপ্ত আমাদের পারফরম্যান্সে। ফাইনাল খেলতে পারলে ভালো লাগত অনেক। যেহেতু পারিনি, তাই এখন আমাদের সব মনোযোগ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের দিকেই।’
এ ম্যাচে শেষবারের মতো হ্যারি কেইন ও রোমেলু লুকাকুর দ্বৈরথ দেখতে পাবেন ভক্তরা। ছয়টি গোল নিয়ে এবারের গোল্ডেন বুটের দৌড়ে সবার আগে আছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার কেইন। চারটি গোল নিয়ে বেলজিয়াম তারকা লুকাকু তার পরেই আছেন।
ফাইনালে উঠতে না পারার হতাশায় ভেঙে পড়া ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের জন্য আজকের ম্যাচটি সাদা চোখে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ, কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।