আইসিবির দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর আগে গত ৮ এপ্রিল জানা যায়, আইসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই বন্ড ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিএসইসির কমিশন সভায় তা চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাত বছরমেয়াদি এ বন্ডের নাম ‘আইসিবি সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড’। এই বন্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নন-কনভার্টেবল, সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য, কুপন বিয়ারিং, ফিক্সড রেট, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট, অতালিকাভুক্ত। বন্ডটির মেয়াদ সাত বছর পূর্ণ হওয়ার পর এটির সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে। এই বন্ড বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট হাউজ ও উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। বন্ডটির নূন্যতম সাবস্ক্রিপশন হবে স্বতন্ত্রভাবে এক কোটি টাকার একটি বন্ড। আর প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঁচ কোটি টাকার পাঁচটি বন্ড। বন্ডের ট্রাস্টি ও ম্যানডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে যথাক্রমে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও রুটস ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে। বন্ডের সুদের হার ৯ শতাংশ (বার্ষিক ভিত্তি)। সুদ পরিশোধের সময়সীমা ছয় মাসভিত্তিক। স্থানান্তরযোগ্য বন্ডটির উৎসে কর কাটা হবে।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আইসিবির শেয়ারদর তিন টাকা ৩০ পয়সা বা দুই দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে সবশেষ লেনদেন হয় ১৪৫ টাকায়। লেনদেন শেষে সবশেষ দর দাঁড়ায় ১৪৪ টাকা ৬০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির এক লাখ ৮৭ হাজার ২৫১টি শেয়ার ৯৭১ বার হাতবদল হয়, যার মোট বাজার মূল্য দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ১৭Ñমার্চ, ১৮) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল পাঁচ টাকা ৪০ পয়সা। ৩১ মার্চ, ১৮ পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৯৯ পয়সায়।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ৩০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে আইসিবি। ওই বছর শেয়ারপ্রতি আয় হয় সাত টাকা ২৯ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৭৭ টাকা ৮৬ পয়সা।
আইসিবি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে আসে। মূলত বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য আইসিবিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সংকটকালে শেয়ার কিনে আর বাজারের উল্লম্ফনের সময় শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজারের ভারসাম্য ধরে রাখাই আইসিবির প্রধান দায়িত্ব।
এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত ও ৬৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ৬৬ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ১২৫টি। কোম্পানির রিজার্ভে আছে তিন হাজার ৪১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোম্পানির মূল্য-আয় অনুপাত ২২ দশমিক ১৩। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৯ দশমিক ৮৪। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৯ দশমিক ৮১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৭ শতাংশ সরকারি, এক দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও এক দশমিক ৫৩ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০