নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখা সোনার হিসাব ও ওজনে গরমিল নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর অবশেষে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এএনএম আবুল কাসেমকে। ছয় সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চার জিএম (মহাব্যবস্থাপক) ও এক ডিজিএম। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এই কমিটি গঠন করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সঙ্গে এক সভা করেন। ওই সভাতেই ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভল্টে রক্ষিত সোনা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার প্রকৃত অবস্থা জানতে ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের রক্ষিত সোনা বদলে যাওয়ার অভিযোগের কোনো ভিত্তি আছে বলে মনে করছেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুরো বিষয়টিকে তিনি ‘অ্যাবসোলিউটলি ইউসলেস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সোমবার রাতে দেশে ফিরে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের এক কর্মসূচিতে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, তিনি কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখার পর তা মিশ্র বা সংকর ধাতু হয়ে যায়। এছাড়া ২২ ক্যারেটের সোনা ১৮ ক্যারেট হয়ে যায় বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
