শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির এক লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার বিকালে দুদকের উপ-পরিচালক বেনজির আহম্মেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যর একটি দল খনি এলাকা পরিদর্শন করে পেয়েছে মাত্র দুই টন কয়লা। এদিকে খনি থেকে কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সোমবার বিকালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ফুলবাড়ী উপজেলা শাখা।
খনি এলাকা পরিদর্শন শেষে দুদক উপ-পরিচালক বেনজির আহম্মদ সাংবাদিকদের জানান, কাগজ-কলমে এখনও এক লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা খনিতে থাকার কথা, কিন্তু বাস্তবে আছে মাত্র দুই টন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেট্রোবাংলা ও দুদক পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। খনির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এমডি ও সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, একই সঙ্গে কোম্পানির জিএম (মাইনিং) ও ডিজিএম’কে (স্টোর) সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে কয়লা লোপাটকারীদের শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ফুলবাড়ী উপজেলা শাখা নিমতলা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান প্রধান সড়ক পরিদর্শন শেষে পথসভা করে।
কমিউনিস্ট পার্টির ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎবন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার সাবেক সদস্য সচিব এসএম নুরুজ্জামান জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ২০১০ সালে প্রথম দুই কোটি টাকার তামা চুরি হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে একটি ভুয়া ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে ৩০০ টন কয়লা পাচার করা হয়েছিল। এবার এক লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়েছে। এই ঘটনায় যারা দোষী তাদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
উল্লেখ্য, কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই রাত ১০টায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের আট জেলা (রংপুর বিভাগ) বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পড়েছে।
জড়িতদের শাস্তি দাবি এলাকাবাসীর
