চাষাবাদ

কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে হলুদ। এর উপকারিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের আয়োজন

মসলাজাতীয় ফসল হলুদ। এটি আদা পরিবারের অন্তর্গত একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহৃত দ্রব্য। প্রতিদিনের রান্নায় হলুদের প্রয়োজন পড়ে। মসলা হিসেবে এর ব্যবহার ছাড়াও নানা ধরনের প্রসাধনী, ওষুধ, সুগন্ধি ও রঙের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হলুদ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনি দেশের চাহিদা পূরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

উপযুক্ত মাটি ও আবহাওয়া
সব ধরনের মাটিতে হলুদ চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি হলুদ চাষের জন্য অতি উত্তম। এ মাটি হলুদের কাণ্ড বৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়া আর্দ্র মাটিতে ও হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে হলুদ ভালো জন্মে। ক্ষার মাটিতে হলুদ ভালো হয় না। হলুদ ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো জন্মে। এছাড়া হলুদের ভালো ফলনের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এটি ৬০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার উঁচু, পাতা বড় আয়তকার এবং এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।

বীজ বপন

বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ অর্থাৎ (এপ্রিল ও মে) জমিতে ‘জো’ এলে জমি হলুদ লাগানোর উপযুক্ত সময়। তবে মাটির প্রকৃতি ও বৃষ্টিপাত অনুসারে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে হলুদ লাগানো হয়। ভালো ফলনের জন্য গভীরভাবে চার থেকে পাঁচটি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝরঝরা করে আগাছা পরিষ্কার করে ভালোভাবে জমি তৈরি করে নিতে হবে। ১৫ থেকে ২০ গ্রাম ওজনের এক থেকে দুটি ঝুড়িবিশিষ্ট কন্দ লাগাতে হয়। ৫০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে সারি করে করতে হবে। ২৫ সেন্টিমিটার দূরে পাঁচ থেকে সাত সেন্টিমিটার গভীরে কন্দ লাগাতে হয়। প্রতি হেক্টরে দুই হাজার ৫০০ কেজি কন্দ প্রয়োজন হয়। কন্দ লাগানোর পর ভেলি করে দিতে হয়।

জাত
হালকা, গাঢ় হলুদ, কমলা প্রভৃতি রঙের হলুদ দেখা যায়। দেশে হলুদের তিনটি উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে: বারি হলুদ-১ (ডিমলা), বারি হলুদ-২ (সিন্দুরী) ও ও বারি হলুদ-৩। ডিমলা জাতটি স্থানীয় জাতের তুলনায় দিনগুণ ফলন বেশি দেয়। আর হলুদের রং কারকিউমিনের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে।

সার ব্যবস্থাপনা
জমির উর্বরতার ওপর সারের পরিমাণ নির্ভর করে। প্রতি হেক্টরে গোবর তিন থেকে চার টন, ইউরিয়া ২০০ থেকে ২৪০ কেজি, টিএসপি ১৭০ থেকে ১৯০ কেজি, এমওপি ১৬০ থেকে ১৮০ কেজি, জিপসাম ১০৫ থেকে ১২০ কেজি ও জিংক সালফেট দুই থেকে তিন কেজি প্রয়োজন পড়ে। জমি তৈরির সময় গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট ও ৮০ কেজি এমওপি সার মাটির সঙ্গে মেশাতে হবে। কন্দ লাগানোর ৫০ থেকে ৬০ দিন পর ১০০ থেকে ১২০ কেজি ইউরিয়া ভেলি হালকাভাবে কুপিয়ে প্রয়োগ করে আবার ভেলি করে দিতে হবে।

পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা
ডগা ছিদ্রকারী পোকা
এটি কাণ্ড আক্রমণ করে। কাণ্ড ছিদ্র করে ভেতর দিকটি খেয়ে ফেলে। এতে পাতা হলুদ হয়ে যায়। ফলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। উৎপাদন কম হয়।

প্রতিরোধ
আক্রান্ত ডগা তুলে ফেলা কিংবা সম্ভব হলে শিশু-পোকা মেরা ফেলতে হবে। এছাড়া প্রতি লিটার পানিতে চার মিলিগ্রাম বিটি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আর আক্রমণের হার বেশি হলে অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ যেতে পারেন।

রাইজোম স্কেল পোকা
ফসলের শেষ পর্যায়ে এ পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এ পোকা আক্রমণ করলে সহজে বোঝা যায় না। পোকা উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের হয়, আকার হয় গোলাকার। এ পোকা রাইজোমের রস শুষে খায়। ফলে রাইজোম আকারে ছোট হয়, কুঁচকে যায় এবং অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা কমে যায়। আক্রান্ত রাইজোম গুদামে রাখলে সেখানে পচন ধরতে পারে।

প্রতিরোধ
আক্রান্ত রাইজোম বাদ দিয়ে গুদামজাত করতে হবে। মাঠে আক্রমণ দেখা দিলে ও গুদামে রাখার আগে অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

বিছা পোকা
এ পোকা ছোট অবস্থায় একত্রে থাকে। বড় হলে পুরো মাঠে ছড়িয়ে পড়ে। এর আক্রমণ মাঝে মাঝে দেখা যায়। এরা পাতা ও গাছের নরম অংশ খায়। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে গাছ-পাতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। প্রাথমিক অবস্থায় এদের দমন করতে হবে।
প্রতিরোধ
দলবদ্ধ থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে পিষে মেরে ফেলতে হবে। আক্রান্ত ক্ষেতের চারদিকে নালা করে কেরোসিন মিশ্রিত পানি রাখলে পানিতে পড়ে বিছাগুলো মারা যায়। সময়মতো আগাছা ও মরা পাতা পরিষ্কার করতে হবে। ক্ষেতের মাঝে কঞ্চি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করলে বিছা প্রভৃতি ধরে খায়। এছাড়া অনুমোদিত কীটনাশক নির্ধারিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

থ্রিপস
আকৃতিতে খুব ছোট। দেখতে হলুদাভ। এদের পিঠের ওপর লম্বা দাগ থাকে। এ পোকা পাতার রস শুষে খায়। এতে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। গাছের পাতাগুলো বিবর্ণ দেখায়। ফলে ফলন অনেক কমে যায়।

প্রতিরোধ
ক্ষেতে মাকড়সার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ পোকা দমন করা যায়। অনুমোদিত কীটনাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

ফসল সংগ্রহ
লাগানোর ৯ থেকে ১০ মাস পর পাতা শুকিয়ে গেলে হলুদ সংগ্রহ করা হয়।

হলুদ সংরক্ষণ
হলুদ ভালো করে পরিষ্কার করে কোনো পাত্রে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট জাল দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ করার পর ১২ থেকে ১৩ দিন রোদে শুকাতে হবে।

 

রোগ নিরাময়ে…

আড়াই হাজার বছরের বেশি সময় ধরে মানবজাতি হলুদ ব্যবহার করছে। প্রথমদিকে রং হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পর্যায়ক্রমের এর প্রবেশ ঘটে মানুষের খাদ্যতালিকায়। শুরু হয় গবেষণা, বের হয় এর ঔষধি গুণ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যাপক প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন গুণের কারণে তাই বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে প্রয়োজনীয় মসলা এই হলুদ।
ভিটামিন ‘বি৬’ আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম ও ফাইবার রয়েছে হলুদে

হলুদে লিপোপোলাইস্যাকারাইড নামে এক ধরনের পদার্থ রয়েছে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়

তরকারিতে রাখুন হলুদ। এর উপস্থিতিতে রান্না করা খাবার জীবাণুমুক্ত হয়। বেড়ে যায়
হজম ক্ষমতা

হলুদ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা খাবারে যে পরিমাণ হলুদ নিই, তাতেই ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর হয়, যা অনেক ধরনের কার্ডিওভাসকুলার রোগ সারিয়ে তোলে

লিভার থেকে বিষাক্ত উপাদান সরিয়ে ফেলে মসলাটি। রক্ত চলাচল ভালো রাখে। জন্ডিস কমাতে কাজে লাগে

অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এটি। মুখ জ্বালাপোড়া করলে গরম পানিতে হলুদ মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। দেহের কোনো অংশ পুড়ে গেলে পানির সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। কাটাছেঁড়ায়ও ব্যবহার করতে পারেন হলুদ

শৈশবের লিউকোমিয়া প্রতিরোধ করে এ মসলা। তাছাড়া আলঝেইমার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে
স হলুদ নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিস। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে ইনসুলিনের লেভেল ঠিক রাখতে সহায়তা করে

ক্যানসার সেলের বৃদ্ধি রোধ করে। প্রস্টেট, কোলন, ব্রেস্ট প্রভৃতি ক্যানসারে উপকারী। হলুদ দিয়ে রান্না করুন ফুলকপি; গ্ল্যান্ড ক্যানসার দূরে থাকবে

হলুদ খাওয়ার সময় যকৃৎ থেকে এক ধরনের পাচক রস স্বচ্ছন্দগতিতে নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ওজন স্বাভাবিক রাখে

বিষন্নতা কমিয়ে দেয় হলুদ। এ কারণে অনেক আগে থেকেই চীনারা হলুদের ভেষজ চিকিৎসা করে চলেছে। মানসিক চাপ কমাতে কিংবা দুর্বলতা দূরে রাখতে অথবা জ্বরের প্রকোপ কমাতে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রমতে এটি রক্ত শুদ্ধ করে। তাই গুঁড়ো কিংবা ট্যাবলেট আকারে খেতে পারেন। তবে হৃদরোগীদের হলুদ কম খাওয়া উচিত

ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী হলুদ। এ মসলায় কারকিউমিনের উপস্থিতি রয়েছে। উপাদানটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ফলে তৈরি ফ্রি র‌্যাডিকেল ধ্বংস করে দেয়। তাছাড়া ফর্সা হতে অনেকেই হলুদের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে থাকেন। কাঁচা হলুদ বেটে শরীরে লাগাতে পারেন।

কখন খাবেন কখন নয়
হলুদ রক্তের সুগার কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এটি বেশ ভালো কাজ করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং সুগারের মাত্রা কমাতে খাদ্য তালিকায় হলুদ রাখা যায়।

এবার অপর দিক দেখে নিন। যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তাদের জন্য হলুদ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কেননা এতে রক্তের সুগার অনেক কমে যেতে পারে। এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

গর্ভবতী ও স্তন দানকরী মায়েদের ক্ষেত্রে হলুদ খাওয়া নিরাপদ। তবে গর্ভাবস্থায় হলুদের সাপ্লিমেন্ট বেশি খাওয়া উচিত। এতে অনেক সময় গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

স্তন দানকারী মায়েদের ক্ষেত্রেও কম খাওয়া উচিত। এর সাপ্লিমেন্ট একেবারে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

পিত্তথলির সমস্যা বাড়িয়ে দেয় হলুদ। তাই পিত্তথলি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হলুদ খাওয়া ভালো।

কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা থাকলে হলুদের সাপ্লিমেন্ট না খাওয়াই ভালো। কারণ হলুদ রাসায়নিক অক্সালেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে, যাতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

হলুদ রক্তকে পাতলা করে দেয়। যাদের রক্তপাত হওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের হলুদ খাওয়ার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এটি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

আপনি যদি ব্লাড ক্লটিং বা রক্ত জমাট বাঁধার ওষুধ খান, তবে হলুদ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হেব।

হলুদ পাকস্থলির এসিড বাড়িয়ে দেয়। ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এ সমস্যা থাকলে হলুদ খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।

ভাসমান হলুদ চাষ
মাটিতে হলুদ চাষের চেয়ে পানির ওপর কচুরিপানা ও জলজ উদ্ভিদের সমন্বয়ে তৈরি স্তূপে ভাসমান হলুদ চাষ করলে অধিক ফলন হয়। এ পদ্ধতিতে চাষ খুবই সহজ। উপরন্তু বাড়তি কোনো জায়গারও প্রয়োজন পড়ে না।
এ পদ্ধতিতে অল্প খরচে সারবিহীন চাষ করা যায়। বর্ষা মৌসুমে বাড়ির নিকটবর্তী বিল, পুকুর কিংবা ডোবার পানিতে চাষ করা যায়। বিলে যখন পানি আসে, তখন কচুরিপানা ও অন্য জলজ উদ্ভিদ পানির ওপর স্তূপ করে কিছুদিন রাখার পর পচন ধরলে তার ওপর গজানো হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। কচুরিপানা ও জলজ উদ্ভিদ পচে উৎকৃষ্ট জৈবসারে পরিণত হয় বিধায় এ চাষে বাড়তি কোনো সার প্রয়োগ করতে হয় না। এতে পোকামাকড়ের আক্রমণ হয় না। এজন্য কীটনাশক প্রয়োগেরও দরকার হয় না।
এ পদ্ধতিতে হলুদ চাষাবাদের জন্য প্রথমে ২০ হাত লম্বা ও পাঁচ হাত চওড়া একটি ধাপ তৈরি করতে হবে। ভাসমান পদ্ধতিতে হলুদ ছাড়াও পানিকচু, উচ্ছে, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বরবটি, ধুন্দল, পালংশাক, ধনেশাক, লালশাক, কলমিশাক, ডাঁটা, লাউ, কুমড়া, খিরা, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও মসলা উৎপাদন করা যায়। ভাসমান পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজির আগাম বীজতলা করেও ভালো ফলন পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুরের রাজৈর ও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিলবাঘিয়ার কৃষক এ পদ্ধতিতে হলুদ চাষ করে থাকেন।

কৃষি-কৃষ্টি ডেস্ক

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০