নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিদ্যমান নদীগুলোতে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পলি পড়ে যেসব নদী নাব্য হারাতে বসেছে, সেগুলোকে খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার নদীপথ ড্রেজিং করা হবে। সরকারের ২০২১ ও ২০৪১ সালের ভিশনের আলোকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
গতকাল সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক এসব তথ্য উঠে আসে।
কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর-উত্তমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, মো. আবদুল হাই, এম আবদুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) ও মমতাজ বেগম অ্যাডভোকেট অংশ নেন।
বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল জানান, এরই মধ্যে এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার নৌপথ ড্রেজিং করা হয়েছে। দেশের তিনটি নৌবন্দরের সঙ্গে নৌপথের যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজারের সংখ্যা ২১টি। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫ করা হবে। ঢাকার সদরঘাটে আরও চারটি টার্মিনাল হবে। এছাড়া চাঁদপুর, বরিশাল এবং নারায়ণগঞ্জে টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। দেশের ২৯টি নদীবন্দরে কার্গো টার্মিনাল হবে। বন্দরগুলো চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রাবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ২০২১ সালের মধ্যে এ কার্গো টার্মিনাল নির্মিত হবে।
তিনি আরও জানান, বিআইডব্লিউটিএ বহরে ১১২টি জাহাজ যুক্ত হয়েছে। দুই ফেজে আরও ২০টি ড্রেজার ও ৯২টি জাহাজ নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের নৌপথের যাত্রা নির্বিঘœ করতে কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়। ঈদের সময় লঞ্চগুলোতে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে বেশি বেশি তদারকি করতে বলা হয়।
অন্যদিকে মোংলা বন্দরের কার্যক্রমে নিরাপত্তা জোরদার করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) অন্তর্ভুক্ত করতে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সহায়ক যন্ত্রাংশ ক্রয় এবং নির্মাণকাজে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসের (পিপিআর) আলোকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা
