শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার গঠনে সমর্থ হলে প্রধান দু’দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পার্লামেন্টে যৌথবিরোধী দলের ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল দুটি ‘সমন্বিত যৌথ কৌশল’ প্রণয়নে সম্মত হয়েছে। খবর ডন।
গত ২৫ জুলাই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গত রোববার প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। বৈঠকে পার্লামেন্টে বিরোধী দলে থাকাকালীন তাদের কৌশল নির্ধারণ ও হাতে হাত রেখে চলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে; যা ইমরান খানের জন্য সামনের কঠিন সময়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে পিএমএল-এনের নেতা মুশাহিদ হুসাইন সায়েদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা শুরু মাত্র। জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার সর্দার আয়াজ সাদিকের বাসভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত সুন্দর একটি বৈঠক ছিল। এটাকে আপনি মনের বৈঠকও বলতে পারেন। বৈঠকে দু’দল একটি বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে যে, ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচন চুরি হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, উভয় পক্ষই একমত পোষণ করেছে যে, নির্বাচনী ফল পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করা উচিত এবং পার্লামেন্টে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকারকে কঠিন সময়ের মুখোমুখি করার জন্য ‘একটি সমন্বিত যৌথবিরোধী কৌশল’ হাতে নেওয়া হবে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন দীর্ঘ ৫৬ ঘণ্টা পর শনিবার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেছে। এতে জাতীয় পরিষদের একক বৃহত্তম দল হিসেবে ইমরান খানের পিটিআই ১১৫ আসনে জয়ী হয়েছে। তবে দেশটিতে সরকার গঠনের জন্য ১৩৭ আসনের প্রয়োজন। অন্যদিকে, পিএমএল-এন ও পিপিপি যথাক্রমে ৬৪ এবং ৪৩ আসনে জয় পেয়েছে।
