শেয়ার বিজ ডেস্ক: কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তা ও সামরিক কমান্ডাররা ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ‘মূল্যহীন’ ও ‘অলীক কল্পনা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
জেনারেল জাফারি বলেন, ইরানের জনগণ তাদের দায়িত্বশীলদের কখনোই শয়তান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুমতি দেবে না। তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে মার্কিন প্রশাসনের সাম্প্রতিক তৎপরতা ও ট্রাম্পের প্রস্তাব একে অপরের বিপরীত।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়াকে অবৈধ অ্যখ্যা দেওয়া রুহানিও বলেছেন, ইরানের তেল রফতানিতে বাধা দিতে ওয়াশিংটনের নতুন প্রচারণা সত্ত্বেও সহজে হাল ছাড়বে না তেহরান।
পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টানার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে তিন বছর আগে জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশান (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিটিতে সই করেছিল ইরান।
শুরু থেকেই সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তিটির তুমুল বিরোধী ছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় গেলে চুক্তিটি থেকে ওয়াশিংটনকে সরিয়ে আনবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তিন মাস আগে মে মাসে সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নও করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউরোপীয় মিত্রদের আপত্তির মুখেও তেহরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের পথেও হাঁটছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এরই মধ্যে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই ইরানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেন, যার প্রতিক্রিয়ায় পরে টুইটারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ‘চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়া ও আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিজেদেরই দোষারোপ করতে পারে। হুমকি, নিষেধাজ্ঞা কিংবা লোকদেখানো আয়োজন কোনো কিছুতেই কাজ হবে না।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেছেন, ইরানের ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা এবং এ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে ব্যবসা না করতে অন্যান্য দেশের ওপর মার্কিন প্রশাসন যেভাবে চাপ দিচ্ছে, তার সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনার প্রস্তাব একেবারেই বিপরীতধর্মী।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন না রুহানি
