শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাপানের গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি সুজুকি মোটর, মাজদা ও ইয়ামাহা তাদের কিছু গাড়িতে কার্বন নির্গমনের ডিভাইস সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। এসব পণ্যের গুণগত মানের কেলেঙ্কারির জন্য দেশটির গাড়ি প্রস্তুত খাত প্রভাবিত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়া।
নিসান ও সুবারু কোম্পানি একত্রিত হয়ে জ্বালানি অর্থনীতি ও কার্বন নির্গমন ডিভাইস বিষয়ে প্রতারণা করে। এরপর গত মাসে মন্ত্রণালয় থেকে ২৩টি কোম্পানিকে অভ্যন্তরীণ তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই এসব কোম্পানির মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি সামনে আসে। মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, তিনটি কোম্পানির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে ‘অস্বচ্ছতার প্রমাণ’ পাওয়া গেছে। তারা জানিয়েছে, তাদের বেশকিছু সংখ্যক গাড়িতে কার্বন নির্গমন ডিভাইসের অসম্পূর্ণ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তবে সেসব পরীক্ষা সঠিকভাবে করা হয়েছে বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। সুজুকি জানায়, ছয় হাজার ৪০১টি গাড়িতে তদন্তে অস্বচ্ছতা ছিল। যেসব গাড়ির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ছিল ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মাণ করা। এছাড়া মাজদার পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ৭২টি বা তিন দশমিক আট শতাংশ গাড়িতে ত্রুটি রয়েছে। অপরদিকে ইয়ামাহা জানায়, মোটরবাইকের দুই দশমিক এক শতাংশে ত্রুটি রয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, কোম্পানিগুলোর প্রতিবেদন যাচাই করা হবে এবং প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদিও অন্যান্য ২০টি কোম্পানির অধিকাংশই জানিয়েছে তাদের তদন্তে কোনো ধরনের মিথ্যাচার করা হয়নি। অবশ্য কয়েকটি কোম্পানির তদন্ত তখনও চলছিল। সম্প্রতি জাপানের গাড়িগুলোতে কার্বন নির্গমন ডিভাইসবিষয়ক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গুণগত মান পরীক্ষায় অনিয়মের কেলেঙ্কারির খবর ছড়িয়ে পড়ে। গত জুলাইয়ে নিসান স্বীকার করেছিল কার্বন নির্গমন ও জ্বালানি খরচের ডিভাইস কিছু গাড়িতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। গতবছর কোম্পানির কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তির পর তাদের বাধ্য করা হয়েছিল এক মিলিয়নের বেশি গাড়ি সংস্কার করতে।
জাপানে তিন গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির স্বীকারোক্তি
