ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশের নারী ফুটবল যখন দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই যেন পেছনে হাঁটতে শুরু করেছে ছেলেদের ফুটবল। সেই বৃত্ত ভেঙে বের হতে একটা জয় অথবা ড্রয়ের খুব দরকার ছিল লাল-সবুজের ছেলেদের। এশিয়ান গেমসে গতকাল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন এক জয়ের দ্বারপ্রান্তে থেকে ড্রয়ের ফল নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ।
এশিয়ান গেমসে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল জাকার্তার পাকান সারি স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। যদিও ম্যাচের ৭৯ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল জেমি ডের শিষ্যরা। কিন্তু এরপর মিনিটে গোল হজম করায় আর জেতা হয়নি লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের।
এর আগের ম্যাচে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ব্যর্থতা কাটাতে গতকাল একটি জয়ের খুব দরকার ছিল জেমি ডের শিষ্যদের। সে পথও বিরতির পর তৈরি করে দিয়েছিলেন মাহবুবুর রহমান। কিন্তু শেষদিকে নিজেদের ঠিক সমালে রাখতে পারেনি লাল-সবুজরা।
উজবেকিস্তান ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে গতকাল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচ শুরুর আট মিনিটের মধ্যে থাই গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মাহবুবুর রহমান। ৩৭ মিনিটে আবারও সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে দুর্বল শটে থাই ডিফেন্ডারদের বোকা বানাতে পারেনি এ ফরোয়ার্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ৫২ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রোতে বাংলাদেশের এক খেলোয়াড়ের মাথা ছুঁয়ে বল যায় মাহবুবুর রহমান সুফিলের পায়ে। জটলার মধ্য থেকে সেই বলে আলতো ভলিতে থাই গোলরক্ষককে পরাস্ত করে আগের দুই সুযোগ হাতছাড়ার প্রায়শ্চিত্ত করেন লাল-সবুজের এ ফরোয়ার্ড।
এগিয়ে যাওয়ার পরই যেন বাংলাদেশ শিবিরে ভর করে ক্লান্তি। সেই সুযোগে রক্ষণে চাপ বাড়ায় থাইল্যান্ড। সাদউদ্দিন, মাশুক মিয়া জনিরা থাইদের মুহুর্মুহু আক্রমণের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন। এক সময় বেরিয়ে পড়ে রক্ষণের কঙ্কালও। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা একাধিক সেভ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৮০ মিনিটে এরিয়াল বলে তার ব্যর্থতার সুপাচাই চাইদেদের গোলে সমতায় ফেরে থাইল্যান্ড।
শেষদিকে অবশ্য এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় জেমি ডের শিষ্যদের। ম্যাচে অন্তত লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের একটাই সান্ত¡না হারেনি বাংলাদেশ।
