হৃৎপিণ্ডের সখ্য টমেটোর সঙ্গে

 

শাহনাজ সুলতানা: ক্ষুধা বাড়াতে টমেটো খেতে পারেন। টমেটো আমিষ, ক্যালসিয়ামের সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ আছে। আপেল, কমলালেবু ও আঙুরের মতো ফলের চেয়ে টমেটোর রক্ত তৈরির ক্ষমতা বেশি। এটি রক্তের লাল কণিকা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের ফ্যাকাসে ভাব ও রক্তস্বল্পতা দূর করে। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও উপকারী ক্ষার রয়েছে। এতে যথেষ্ট পরিমাণে লবণ, পটাশ, লোহা, চুন আর ম্যাঙ্গানিজও রয়েছে।

  1. টমেটো ‘লাইকোপেন’ নামে একটি উপাদান রয়েছে। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
  2. সবসময় রোগা থাকলে কিংবা শরীর দুর্বল লাগলে সকাল-বিকাল পাকা টমেটোর সালাদ ও জুস খেতে পারেন উপকার পাবেন।
  3. পায়খানা কম কিংবা শক্ত হলে সকাল-বিকাল একটি বা দুটি টমেটো কাঁচা খেলে সমস্যা কমবে।
  4. চামড়ায় নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিলে কিংবা কোনো কারণে মসৃণতা কমলে টমেটোর সালাদ বা রস খেলে দ্রুত উপকৃত হবেন।
  5. নিয়মিত টমেটো খেলে পাকস্থলী, অন্ত্র সুস্থ ও সবল থাকে।
  6. মুখে অরুচি, ক্ষুধা কম ইত্যাদি সমস্যায় টমেটো টুকরো টুকরো করে কেটে শুকনো আদা গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  7. মূত্রথলির অম্লতাকে নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখতেও সহায়তা করে। ফলে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ ও পাথর তৈরি হয় না।
  8. শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে প্রতিদিন বড় মাপের একটি পাকা টমেটো নিয়মিতভাবে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
  9. অর্শ্ব, জন্ডিস বা পুরনো জ্বর থাকলে নিয়মিত টমেটো খেয়ে যান।
  10. গর্ভবতী বা সদ্য প্রসূতি মা নিয়মিত টমেটো খেলে শরীর ও মনে শক্তি পাবেন।
  11. পেটের অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে টমেটো খেয়ে যান।
  12. বাচ্চাদের দিনে তিনবার অল্প অল্প করে টমেটোর রস খাওয়াতে পারেন নিরোগ ও সবল দেহ নিয়ে বেড়ে উঠবে শিশু।
  13. হৃৎপিণ্ডের বর্ণের সঙ্গে টমেটোর সাদৃশ্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, হৃদযন্ত্রের সঙ্গে সখ্যতাও আছে ফলটির। এটি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০