নিজস্ব প্রতিবেদক: জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সরকার এক লাখ টন কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ও আপৎকালীন মজুদ হিসেবে আপাতত এক লাখ টনের মতো কয়লা আমদানি করা হবে। অলরেডি টেন্ডারে চলে গেছে। স্টক বিল্ডআপ করার জন্য আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়লা আমদানি করব। এটা রেগুলার ভিত্তিতে হবে না, যে কোনো ইমারজেন্সিতে। এটা একটা ইমারজেন্সি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়লাখনিতে যে কোনো সময় ওয়াটার বিল্ডআপ করতে পারে। তখন কী হবে? আবার অনেক দেশে অনেক রকম ধস নেমেছে। অনেক লোক মারাও গেছে। খনিতে পরিস্থিতি হয় এ রকম। ইমারজেন্সি পরিস্থিতির আমরা একটা স্টক বিল্ডআপ করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়লা আমদানি করতে যাচ্ছি। লাখখানেক টনের মতো হবে আপাতত। তবে আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হলো ক্যারিং করাটা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বড়পুকুরিয়া নিয়ে আসাটা।’
এ সময় ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা লোপাট’ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তদন্তের দুটো রিপোর্ট পেয়ে গেছি। কারা কারা জড়িত বা কীভাবে হয়েছে বা কীভাবে করতে যাচ্ছে, এটার রিপোর্ট হয়েছে। সে অনুপাতে তাৎক্ষণিকভাবে তো তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি কোনো রকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। এটা তো মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে কোম্পানি থাকেÑপেট্রোবাংলা, তাদের বিষয়। সেখানে কোনো রকম দুর্নীতির ছিটেফোঁটা হলেও সেটা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
‘কয়লা লোপাটে কারা জড়িত’ এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু মামলা করেছি, মামলার তদন্তের ওপর এখন তা নির্ভর করছে। এই তদন্ত রিপোর্টগুলো হয়তো সাপোর্টিং হবে মামলার জন্য, আর দুদকও মামলা করেছে। আর আমি প্রকাশ্যে এভাবে বলতে চাই না। এগুলো মামলাকে অন্যদিকে নিয়ে যাবে। আমরা বলতে চাচ্ছি, এটা তো এক দিনের ব্যাপার নয়। এক লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা সরাতে ৩০ হাজার ট্রাক লাগত। এটা তো এক দিনে হয়নি, এটা ২০০৫ সাল থেকে স্টকে বিল্ডআপ করে করে তারপর সরিয়েছে। সেটা ধরা পড়ায় ভালো হয়েছে। অন্তত শেখ হাসিনা সরকারের সময় এই দুর্নীতিটি ধরা পড়েছে। ধরা তো পড়েছে আমাদের হাতে।’
কয়লা সংকটে বন্ধ হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বর নাগাদ অল্প পরিসরে চালু করতে পারব। অক্টোবর নাগাদ আমরা পুরো মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারব।’
