নানা গুণের চালকুমড়া

চালকুমড়া একটি জনপ্রিয় সবজি। ঘরের চালে এ সবজি ফলানো হয় বিধায় এটি ‘চালকুমড়া’ নামে পরিচিত। এখন শুধু চালে নয়, মাচা ও জমিতেও চাষ করা হয় এটি। চালকুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা, হালুয়া, পায়েস ও বড়া তৈরি করে খাওয়া যায়। এর কচি পাতা ও ডগা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। এটি একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার রয়েছে। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে এ সবজিটি।

পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম চালকুমড়ায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ১৩ কিলো ক্যালরি, আমিষ শূন্য দশমিক চার গ্রাম, শর্করা তিন গ্রাম, ফাইবার দুই দশমিক ৯ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক দুই গ্রাম, ভিটামিন সি ১০ দশমিক এক মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৬ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম দুই মিলিগ্রাম, কোলেস্টেরল শূন্য মিলিগ্রাম, লৌহ শূন্য দশমিক দুই মিলিগ্রাম, জিংক শূন্য দশমিক সাত মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ১৩ মিলিগ্রাম।

উপকারিতা

  • এটি এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসেবে পেট ও অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। আলসার ও মসলাযুক্ত খাবার দিয়ে পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া এসিড দূর করে
  • মানসিক রোগীদের জন্য বিশেষ পথ্য হিসেবে কাজ করে। কারণ এটি মস্তিষ্কের নার্ভ ঠাণ্ডা রাখে। এজন্য চালকুমড়াকে ব্রেইন ফুড বলা হয়
  • যাদের কাশির সঙ্গে রক্ত বের হয়, তারা চালকুমড়ার রস খেতে পারেন
  • শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে উপকারী একটি সবজি এটি। রক্তনালিতে রক্ত চলাচল সহজতর করে এবং হƒৎযন্ত্রের পেশি সবল করে। অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়
  • মুখের ত্বক ও চুলের যতেœ চালকুমড়ার রস উপকারী। রস নিয়মিত চুল ও ত্বকে মাখলে চুল চকচকে হয় এবং ত্বক সুন্দর হয়
  • এর বিচি গ্যাস্ট্রিক রোগের উপশম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে

ভেষজ ওষুধ হিসেবে চালকুমড়ার ফল, ফুল ও পাতা কাজে লাগে। প্রাচীন ভেষজ চিকিৎসকরা যক্ষ্মা রোগীর ব্যবস্থাপত্রে চালকুমড়ার রস খাওয়ার জন্য উল্লেখ করতেন। তাদের ধারণা ছিল, চালকুমড়ার মধ্যে রয়েছে রক্তশোধক উপাদান।

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০