শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইয়েমেনে নতুন করে আরও ১০ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে। এতে দেশটিতে মোট ৫২ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। খবর বিবিসি।
যুদ্ধের কারণে বাড়তে থাকা খাদ্যমূল্য ও মুদ্রার অব্যাহত দরপতনে ইয়েমেনে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকির মধ্যে পড়া পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দেশটির বিদ্রোহী অধিকৃত এলাকাগুলোতে পাঠানো ত্রাণের অধিকাংশই প্রধান সমুদ্রবন্দর হুদেইদাহের মধ্য দিয়ে ওই এলাকাগুলোতে যায়। কিন্তু হুদেইদাহের চার পাশে চলা লড়াইয়ের কারণে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সরবরাহ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এতে বিদ্যমান পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী হেল থর্নিং স্মিথ বলেন, লাখ লাখ শিশু জানে না পরবর্তী খাবারটি কখন পাবে অথবা আদৌ পাবে কি না। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর ইয়েমেনের একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেখানে শিশুদের কান্না করারও শক্তি নেই, ক্ষুধায় তাদের দেহ অবসন্ন হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এতে ইয়েমেনি শিশুদের পুরো এক প্রজš§ ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যারা বোমা থেকে শুরু করে ক্ষুধা ও কলেরার মতো প্রতিরোধযোগ্য রোগের কারণে বহুমাত্রিক হুমকির সম্মুখীন।’
চলতি মাসের প্রথমদিকে সেইভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছিল, চলতি বছর এ পর্যন্ত তারা তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় চার লাখ শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ৩৬ লাখেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বেসরকারি সংস্থাটি।
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী ইয়েমেনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশ বেসামরিক এবং আহত হয়েছে আরও ৫৫ হাজার।
২০১৫ সালের প্রথমদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানাসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে নেয়। এতে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদরাব্বু মনসুর হাদি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত আরেকটি শিয়া গোষ্ঠীর উত্থানের সম্ভাবনায় শঙ্কিত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আরও সাতটি আরব দেশ হাদিকে ফের ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্য সামনে রেখে হুতিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করলে ইয়েমেনজুড়ে লড়াই ছড়িয়ে পড়ে।
