বাংলাদেশে মাইক্রোসফট স্কেলআপ

রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০টি স্টার্টআপের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোর জন্য ‘মাইক্রোসফট স্কেলআপ’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে মাইক্রোসফট। স্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে মাইক্রোসফট মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বৈশ্বিক ইকোসিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। এছাড়া এ কর্মসূচির মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও কমিউনিটি অ্যাসিস্ট্যান্স দেওয়া হবে।
মাইক্রোসফট বরাবরই বাংলাদেশের স্টার্টআপ কমিউনিটির প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘মাইক্রোসফট স্কেলআপ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কর্মসূচিটি ‘সিরিজ এ’ স্টার্টআপগুলোকে সহায়তার লক্ষ্যে কাজ করবে। মাইক্রোসফটের সঙ্গে যৌথ সম্পৃক্ততা
(কো-সেল) ও স্টার্টআপগুলোর মাইক্রোসফট টেকনোলজি, ক্রেডিট ও মেন্টরশিপ গ্রহণের সুযোগ করে দেবে।
তরুণ ডিজিটালের যৌথ সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ‘মাইক্রোসফট স্কেলআপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও নেটওয়ার্কিং সেশনে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (এমইএনএ) ও সার্কের কান্ট্রি হেড লাতিকা এস পাই। আরও ছিলেন মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির।
লাতিকা পাই ‘মাইক্রোসফট স্কেলআপ’ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম রয়েছে। এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জ্বালানি ও শক্তি, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা, খাবার সরবরাহ, আইওটি ও কৃষিসেবা নিয়ে স্টার্টআপ রয়েছে। স্টার্টআপগুলো একসঙ্গে দেশের বিদ্যমান নানা সমস্যার সমাধানে কাজ করতে পারে। মাইক্রোসফট এখানে উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম উন্নয়নে কাজ করবে এবং সম্ভাবনাময় এসব স্টার্টআপের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
সোনিয়া বশির কবির বলেন, মাইক্রোসফট স্কেলআপ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। কেননা আমাদের এখানে বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ উল্লেখযোগ্যভাবে কাজ করছে এবং বাইরের অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে। ‘মাইক্রোসফট ফর স্কেল আপস’ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য স্টার্টআপগুলোর প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। আমাদের এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা সম্ভাবনাময় ‘এন্টারপ্রাইজ-রেডি’ স্থানীয় স্টার্টআপগুলো নির্বাচিত করব। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বৈশ্বিক মার্কেটপ্লেস ও বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তাদের যুক্ত হতে সহায়তা করব। আমাদের লক্ষ্য এ স্টার্টআপগুলোকে ইউনিকর্নে (এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের প্রতিষ্ঠানে) পরিণত করা। এ কর্মসূচি আমাদের স্টার্টআপ কমিউনিটিতে নতুন মাত্রা ও সঞ্চালন নিয়ে আসবে এটা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।
মাইক্রোফটের গ্রোথ প্রোগ্রাম কো-মার্কেটিং ও কো-সেলিংয়ের সুযোগ নেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে। একই সঙ্গে নিজেদের অবকাঠামো উন্নয়নের ও ব্যবসা প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এমন সব স্টার্টআপগুলোকে সহায়তাদানের বৈশ্বিক কর্মসূচি ‘মাইক্রোসফট স্কেলআপ’।
এই উদ্যোগ বিটুবি স্টার্টআপগুলো নিয়ে কাজ করছে। কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিক নির্বাচনের পর বিশেষজ্ঞরা নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো বিশ্লেষণ করবেন। ব্যবসায়িক কৌশল ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই অবস্থা অর্জনে নানা সমস্যা শনাক্ত করে এর সমাধান নিয়ে কাজ করবেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০