ভ্রমণে যেতে বেশ ভালোই লাগে। সে ভ্রমণের অংশীদার যদি হয় শিশু, তাহলে আরও মজা। পাশাপাশি তার জন্য একটু বাড়তি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কেননা, ছোট শিশুদের নিয়ে বের হলে তারা অস্বস্তিবোধ করতে পারে। এর রেশ অভিভাবকের ওপরও পড়তে পারে। বেড়াতে যাওয়ার স্থানটি যদি দূরে হয়, তাহলে একটু চিন্তাও যোগ হতে পারে। শিশুকে রেখেও তো যাওয়া যাবে না, আবার ভ্রমণটিও হাতছাড়া করা সম্ভব নয়।
যা-ই হোক না কেন, শিশুকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারলে নিজের কিছু মজার অভিজ্ঞতা হবে। তাই ভ্রমণের সময় সতর্কতার সঙ্গে কিছু বিষয় খেয়ালে রেখে ভ্রমণটি আনন্দদায়ক করে তুলুন।
শীতকালে ভ্রমণের চাহিদা বেশি। কিন্তু শিশুদের নিয়ে যখন ভ্রমণ করতে চাইবেন, তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আবহাওয়া যেন বেশি ঠাণ্ডা না হয়। বেশি ঠাণ্ডায় শিশুদের নিয়ে ভ্রমণে না হওয়াই ভালো
যাত্রাপথে মোশন সিকনেসের কারণে শিশুরা বমি করতে পারে। এজন্য পোশাক পরিবর্তন করতে হয়। সুতরাং ভ্রমণে যাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পোশাক সঙ্গে রাখুন
ভ্রমণের সময় শিশুরা কান্নাকাটি করতে পারে। তাই সেদিকে বেশি যতœশীল হতে হবে। গাড়ির জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে তাদের প্রকৃতি দেখাবেন। এছাড়া নিজের জানা কিছু কবিতা বা গুনগুন করে গান গাইবেন। এতে বাচ্চারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে
শিশুদের নিয়ে আকাশপথে ভ্রমণ না করাই ভালো। সড়ক বা রেলপথে ভ্রমণ করুন। নিজেদের গাড়িতে করে বেড়াতে গেলে আরও ভালো
শিশুদের নিয়ে ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখবেন নরম-জাতীয় খাবার। হঠাৎ কাঁদলে কিংবা বিরক্তবোধ করলে সেগুলো মুখে দিয়ে দিন। শিশুদের মুখে কিছু গুঁজে দিলেই চুপ হয়ে যায়
শিশুদের নিয়ে যেখানে যাবেন, সে স্থানটি যেন বিনোদনের হয়। কারণ শিশুরা বিনোদনপ্রিয়
দীর্ঘ সময় যানবাহনে থাকলে শিশুরা কান্নাকাটি করে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে তার কান্নায় আপনি বিরক্তবোধ করবেন না বা তার ওপর রাগ হবেন না। এতে তারা আরও বেশি কান্নাকাটি করবে
শিশুরা সহজেই বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। তাই নতুন পরিবেশে অসুস্থ হতে পারে। এজন্য ফাস্ট এইড বক্স সঙ্গে রাখা উচিত।
কামরুন নাহার ঊষা