কলা চাষে ভাগ্যবদল

কঠোর পরিশ্রম, সাহস, সততা ও মেধার পাশাপাশি যদি আন্তরিকতা থাকে তবে তা সম্মিলিতভাবে বিশাল শক্তিতে পরিণত হয়। সে শক্তির ওপর ভর করে প্রথমে বাড়ির আঙিনা পরবর্তীতে পুকুরপাড়ে কলার চাষ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে ছয়টি পুকুরের পাড়ে আবাদ করছেন তিনি। হয়েছেন সফল। তাই তার দেখাদেখি আরও অনেকে পুকুরপাড়ে আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
বলা হচ্ছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রামের বলরাম হাওলাদারের কথা। এক সময়ে অভাব-অনটন ছিল তার নিত্যসঙ্গী। এ অবস্থা তাকে পীড়া দিত। তাই পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টায় পরিশ্রম করেছেন নিরলস।
বললাম বলেন, ২০১০ সালের দিকে অল্প পরিসরে কলার আবাদ শুরু করেছিলাম। কয়েকদিনের মধ্যেই লাভের মুখ দেখি। পরে বিভিন্ন পুকুর লিজ নিয়ে আবাদ শুরু করি। বর্তমানে ছয়টি পুকুরের পাশে দেশি-বিদেশি জাতের কলা চাষ করছেন। প্রায় ২০ হাজার গাছ রয়েছে তার। বছরে তিন চার বার কলা বিক্রি করেন। বাজারে কলার চাহিদা রয়েছে বিধায় তাকে বিক্রি নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। তিনি আরও জানান, এ বছর প্রায় ছয় লাখ টাকার কলা বিক্রি করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, পুকুরের পাশে কলা চাষে লাভ বেশি। তেমন কোনো পরিচর্যা ছাড়াই চাষিরা ভালো ফল পেতে পারেন। এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন সময়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০