জন্মদিন মাধবী মুখোপাধ্যায়

 

খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় ১৯৪২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা চলচ্চিত্র জগতে বেশকিছু কালজয়ী ছবিতে অভিনয় করেছেন।

মাধবী মুখোপাধ্যায়ের অভিনয়ে হাতেখড়ি ১৯৫০ সালে; শিশুশিল্পী হিসেবে ‘কাঁকনতলা লাইট রেলওয়ে’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে।

মাধবীর আসল নাম মাধুরী। ১৯৫৬ সালে তপন সিংহের ‘টনসিল’ ছবিতে তিনি প্রথম মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর ১৯৬০ সালে মৃণাল সেনের ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছবির প্রযোজক বিজয় চট্টোপাধ্যায় তার নতুন নামকরণ করেন মাধবী। এরপর তিনি আরেকজন বিখ্যাত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের সুবর্ণরেখা ছবিতে অভিনয় করেন।

এছাড়াও তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ১৯৬৩ সালে ‘মহানগর’ ছবিতে অভিনয় করেন। এটা ছিল নারী চরিত্রপ্রধান চলচ্চিত্র। এ ছবিতে আরতির ভূমিকায় তার অভিনয় যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। এরপর তিনি ১৯৬৪ সালে সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘নষ্টনীড়’ অবলম্বনে ‘চারুলতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছিলেন। ‘চারুলতা’য় অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায়ের বেশ কয়েকটি ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করা শর্মিলা ঠাকুরও অনেক আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তিনি সত্যজিৎ রায়কে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। একই কাজ করেছেন আরেক বিখ্যাত অভিনেত্রী অপর্ণা সেনও। কিন্তু সত্যজিৎ বরাবরের মতো তার নিজস্ব সিদ্ধান্তে অটল থেকে মাধবী মুখোপাধ্যায়কেই কাস্ট করেন।

মাধবী মুখোপাধ্যায় ১৯৬৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘কাপুরুষ’ ছবিতে অভিনয় করেন।

মাধবী বাংলা চলচ্চিত্রে নায়িকা ও পার্শ্বচরিত্রে বহু ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। আত্মজা নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন তিনি।

মাধবীর স্বামী বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতা নির্মল কুমার। তাদের দুই কন্যাসন্তান আছে। কিন্তু তাদের মধ্যকার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদে গড়িয়েছে। বলা হয়ে থাকেÑপ্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তার গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল।

মাধবী মুখোপাধ্যায় ১৯৯৫ সালে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমি মাধবী’

প্রকাশ করেন।

মাধবী মুখোপাধ্যায় এখনও অভিনয় করেন। তবে অনেক দিন তাকে কোনো চলচ্চিত্রে দেখা

যায়নি। তিনি এখন ছোটপর্দার কিছু সিরিয়ালে অভিনয় করছেন।

মাধবী মুখোপাধ্যায় অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রÑ ‘গোধূলি বেলায়’ (১০৬৪), ‘থানা থেকে আসছি’ (১৯৬৫), ‘জোড়াদীঘির চৌধুরী পরিবার’ (১৯৬৬), ‘ছদ্মবেশী’ (১৯৭১), ‘ছিন্নপত্র’ (১৯৭২), ‘স্ত্রীর পত্র’ (১৯৭২), ‘বন পলাশীর পদাবলী’ (১৯৭৩), ‘গণদেবতা’ (১৯৭৯), ‘অঞ্জলি’ (১৯৮৮), ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ (১৯৮৯)।

 

 

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০