১৬ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি চার মাসে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা, যা সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮১ শতাংশ। যে হারে বিক্রি বাড়ছে তাতে করে দু-এক মাসেই সঞ্চয়পত্রের বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ঋণ এসেছে ১৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা, যা সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৮১.৩৮ শতাংশ। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পুরো সময়জুড়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

একক মাসে হিসাবে গত অক্টোবরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ঋণ এসেছে চার হাজার ৩১০ কোটি টাকা। এর আগের তিন মাসে এসেছিল ১১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-অক্টোবর) সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ঋণ এসেছিল ৯ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে এ বছর আরও দ্রুতগতিতে বাড়ছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি। কারণ, আগের অর্থবছরের তুলনায় এ বছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি।

জানা গেছে, সব ব্যাংকের আমানতের সুদ হার কমে যাওয়ায় গ্রাহকরা নতুন করে সঞ্চয়বিমুখ হয়ে আছেন। আবার ব্যাংকগুলোর কাছেও প্রচুর তারল্য জমে থাকার কারণে তারা এখন আর গ্রাহকের দ্বারে দ্বারে সঞ্চয়ের বার্তা পৌঁছান না। বেশিরভাগ ব্যাংকগুলোরই এখন আমানতে সুদের হার পাঁচ শতাংশের নিচে। এর বিপরীতে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার দ্বিগুণেরও বেশি। যে কারণে গ্রাহকরা এখন সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগেই বেশি আগ্রহী হচ্ছে। ২০১৫ সালের মে মাসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদ গড়ে দুই শতাংশ কমানো হয়। এরপরও এ খাতে বিনিয়োগ করলে গ্রাহকরা ১১ থেকে ১২ শতাংশ মুনাফা পাচ্ছেন। এটাই এখন সঞ্চয়পত্র বিক্রির বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ। যে কারণে ব্যাংক এড়িয়ে সঞ্চয়পত্রের দিকে বেশি ঝুঁকছেন তারা।

গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা। সুদের হার কমানোর পরও বিক্রি না কমায় সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়। অর্থবছর শেষে দেখা গেছে, সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ৩৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা ধার করেছিল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০