অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১,৬৫০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ। সেই সঙ্গে বাড়ছে লোকসানি শাখার সংখ্যা। গত এক বছরে ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি এর ৭৮টি শাখা লোকসানি হয়ে পড়েছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অগ্রণী ব্যাংকের অঞ্চল ও করপোরেট শাখাপ্রধানদের এক সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহম্মদ শামস-উল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অঞ্চলপ্রধান ও করপোরেট শাখা নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

অগ্রণী ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ব্যাংকটি ৫৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ঋণ বিতরণ করেছে ২৬ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। সংগৃহীত আমানতের অর্ধেকের বেশি অলস পড়ে আছে। বিতরণ করা ঋণের ২২ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা।

এদিকে গত ২০১৫ সালে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা; যা ওই সময়ে বিতরণ করা ঋণের ১৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ বাড়লেও আদায়ের হার বাড়েনি। গত বছর আদায় হয়েছে মাত্র ৯৫৩ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণে ৭৮টি শাখা লোকসানে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে অগ্রণী ব্যাংকের আগের খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন করে যাতে খেলাপি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকার তাগিদ দেন গভর্নর।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হক, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিভিন্ন সদস্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক ড. নির্মল চন্দ্র ভক্ত বক্তব্য রাখেন।

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০