বাংলাদেশে চর্মরোগীর সংখ্যা কম নয়। তবে অনেকেই একে রোগ মনে করে না। তাই পরিস্থিতি ও অভ্যাসের ফলে এ অসুখের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা। চর্মরোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য গবেষকরা নানা তথ্য খুঁজে বের করেছেন। এ সম্ভাব্য তথ্যগুলো নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগিয়ে চর্মরোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
পাকা ফল
যে কোনো পাকা ফল যেমন পাকা আম, পেঁপে, কলা প্রভৃতি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। পাকা ফল চর্মরোগের বৃদ্ধি অনেকটা রোধ করে
সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা
শরীরে সামান্য চর্মরোগ দেখা দিলে সাবধান হতে হবে। চর্মরোগের জন্য সূর্যের আলো খুব ক্ষতিকর। তাই যত সম্ভব সূর্যের আলোকে এড়িয়ে চলতে হবে। তাই বলে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না সে রকম কিছু নয়। বাইরে বের হলে সূর্যের আলো যেন শরীরে ভেদ করতে না পারে তেমন পোশাক পরতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মানসিক চাপ কমাতে হবে
চর্মরোগের শত্রু মানসিক চাপ। তাই মানসিক চাপ কমাতে হবে। এর পরিবর্তে সবসময় ফুরফুরে মেজাজে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার
চর্মরোগের প্রথমদিকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন কমলা, লেবু, পেয়ারা, ব্রকলি, স্ট্রবেরি, টমেটো, কিউই প্রভৃতি ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার খেলে চর্মরোগ অনেকটা হ্রাস পাবে।
রাসায়নিক পদার্থ এড়িয়ে চলা
যে কোনো রাসায়নিক পদার্থ থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। বিভিন্ন রাসায়নিকের তৈরি কসমেটিকস, ব্যাগ, জুতা প্রভৃতি। এসব জিনিস কেনার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া কালো রং ও ভেজাল চামড়ার জিনিস এড়িয়ে চলা ভালো। চর্মরোগের জন্য এগুলো ক্ষতিকর।
ভুল ধারণা
বিভিন্ন রোগ নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার রয়েছে। এর মধ্যে চর্মরোগ একটি। অনেকে মনে করেন, কুষ্ঠরোগই একমাত্র চর্মরোগ। ধারণাটি ভুল। কুষ্ঠরোগের সঙ্গে চর্মরোগের কোনো সম্পর্ক নেই। কুষ্ঠ বংশগত রোগ। চিকিৎসাবিদদের মতে, শুরুতে যদি সঠিক চিকিৎসা করা যায় তাহলে এ চর্মরোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব।
কামরুন নাহার ঊষা