রোবো কার্নিভাল; বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রোবটিকস সোসাইটির বিশেষ আয়োজন এটি। এবারে এর তৃতীয় আসর বসে। আসরে পাঁচটি বিভাগে ২০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০র বেশি শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। একটি বিভাগে কোয়ালিফাইয়ার পয়েন্ট না পাওয়ায় কোনো দল বিজয়ী হয়নি।
বিভাগগুলো
# প্যাথফাইন্ডার
# ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন চ্যালেঞ্জ
# প্রোজেক্ট শোকেসিং
# কগনিশন: আইডিয়া কম্পিটিশন
# সকার বট চ্যালেঞ্জ
১৭ জানুয়ারি সকালে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয় ১৮ জানুয়ারি বিকেলে। অনুষ্ঠানের সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, রোবটকে দিয়ে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ দিয়ে করানোর সময় এখন। বিশ্বে রোবটিকসের তাই ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বুঝতে হবে। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। রোবটিকস নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। তবেই আমরা শিগগিরই রোবটিকসে ভালো অবস্থানে যেতে পারব। এ জন্য একটি সেন্টার করা হচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্যাথফাইন্ডার বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘সাস্টথক্যাকারথনাট’, প্রথম রানার আপ সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির দল ‘টিমথওমেগা’। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ডিইউথজিগজ্যাক’।
সকার বট চ্যালেঞ্জ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দল ‘ডিআইইউথগ্র্যাভিশন’। দ্বিতীয় মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ‘আর্ডিয়েন্ট সেন্সর’। তৃতীয় হয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ‘ইউপি স্পিডি ফাইটার’।
কগনিশন: আইডিয়া কম্পিটিশন বিভাগের চ্যাম্পিয়ন আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ‘কিংপিন’। দ্বিতীয় স্থানটি বুয়েটের ইরিডিসেন্ট দলের। তৃতীয় হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির দল রেভুলেশন।
প্রোজক্টে শোকেসিং বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির ‘রোবোগেইম’। দ্বিতীয় হয়েছে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির একটি দল। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির দল ‘ল্যাবএআর’ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির দল ‘ফায়ারফ্লাই’।
কার্নিভাল সম্পর্কে বুয়েট রোবটিকস সোসাইটির সভাপতি সুস্মিত হোসেন প্রিথুল বলেন, দেশে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিকস নিয়ে কাজ করে আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের নিয়ে তৃতীয় আয়োজনটিও আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আশা করছি, ভবিষ্যতেও একই ধারা অব্যাহত রাখতে পারব। আমাদের উদ্দেশ্য রোবটিকস নিয়ে দেশের শিক্ষার্থীরা ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা পাক। এমন ছোট আয়োজন থেকেই যেন তাদের পথচলা শুরু হয়, এটাই আমাদের চাওয়া।
প্রসঙ্গত রোবো কার্নিভালে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমে নিবন্ধন করতে হয়। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত সম্পর্কে ধারণা দেয় আয়োজকরা। এবারের এবারের রোবো কার্নিভালের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের তিন লাখ টাকার বেশি প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে।