পেশাগত স্বাস্থ্য রক্ষায় আইনি কাঠামো

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ অনুযায়ী কিছু আইনি কাঠামো প্রণয়ন করা হয়। এটি শুধু শ্রমিকদের জন্যই নয়, প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ক্ষেত্রেও কল্যাণকর। তাই ২০০৬ সালের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সব ধরনের দূষণ থেকে মুক্ত রাখতে হবে কর্মপরিবেশ। দেখে নিন আরও কয়েকটি আইনি কাঠামো।
# প্রতিষ্ঠানের কর্মকক্ষের মেঝে, সিঁড়ি অর্থাৎ যে জায়গাগুলোয় বেশি
যাতায়াত হয়, সেই পথগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
# জীবাণুনাশক ব্যবহার করে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন কর্মকক্ষের মেঝে পরিষ্কার করতে হবে
# কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন প্রক্রিয়া চলে। ফলে মাঝেমধ্যে মেঝেতে পানিসহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ পড়তে পারে। তখন এই তরল পদার্থ নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে
# প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল, পার্টিশন, ছাদ, সিঁড়ি প্রভৃতি তিন বছর পরপর সংস্কার করতে হবে। তিন বছরের মধ্যে একবার দেওয়ালে রং বা বার্ণিশ করতে হবে। এসব কাজ সম্পন্ন করার তারিখ নির্ধারিত রেজিস্টারে তালিকাভুক্ত করে রাখতে হবে
# সব প্রতিষ্ঠানের কক্ষগুলোয় বায়ু চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। সব কক্ষে এমন তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবে, যাতে সব শ্রেণির কর্মী আরামে কাজ করতে পারে
# প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল, ছাদ-জানালার চুনকাম, স্প্রে করা, পর্দা দেওয়া বা ছাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করা প্রভৃতি বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো ব্যবস্থা চাইলে সরকার সেই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে
# কোনো প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন প্রক্রিয়া চলার কারণে যদি কোনো দূষিত ধোঁয়া নির্গত হয়, তাহলে সেখানকার কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। এসব বিষয়ে যথাযথ পদেক্ষপ নিতে হবে, যেন কর্মীদের কোনো অসুবিধা না হয়
#  উৎপাদন প্রক্রিয়ার সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে
# প্রতিষ্ঠানে অকারণে অতিরিক্ত ভিড় করা যাবে না
# যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য অন্তত ৯ দশমিক ৫ কিউবিক মিটার পরিমাণ জায়গা থাকতে হবে। এই পরিমাণ অনুযায়ী কতজন লোক কাজ করতে পারবে, তা উল্লেখ করতে হবে
# প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা যেখানে কাজ করেন, সেখানে যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থা করতে হবে, তা কৃত্রিমই হোক বা প্রাকৃতিক হোক
# কর্মকক্ষে সূর্যের আলো প্রবেশের জন্য কাচের জানালা ব্যবহার করা হয়। তাই জানালাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে
#  প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
# উৎপাদন প্রক্রিয়ার কাজে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কাজ করতে হয়। তাই শ্রমিকদের জন্য ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির ব্যবস্থা রাখতে হবে
# শ্রমিকদের জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনীয় টয়লেট থাকতে হবে। পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে
# প্রতিষ্ঠানের সুবিধাজনক স্থানে আবর্জনা ও থুথু ফেলার বাক্স রাখতে হবে। এই বাক্স ব্যবহারের জন্য কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে

তথ্যসূত্র: এসএমই ফাউন্ডেশন

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০