দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে হোক আরও আইটি মেলা

ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তি অপরিহার্য হয়ে উঠছে। শিল্পোন্নত দেশে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। বাংলাদেশেও বিশেষত তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে এর প্রয়োগ বাড়ছে। এতে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বাড়ছে আগের চেয়ে। এ অবস্থায় গতকাল শেয়ার বিজে ‘তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হবে’ শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ খাতের বিকাশে দক্ষ জনবল তৈরির ওপর জোর দেন।

প্রযুক্তি খাতে শিক্ষিত তরুণদের আগ্রহ আগের চেয়ে বাড়ছে। রাজধানীতে ১০ দিনব্যাপী আইসিটি জব ফেয়ারে অংশগ্রহণের জন্য প্রায় সারা দেশ থেকে ১০ হাজারের বেশি স্নাতক অনলাইনে নিবন্ধন করেন। এ থেকে ধারণা করা যায়, সিংহভাগ তরুণের পছন্দ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চাকরি।

প্রযুক্তি বিকাশে উন্নত সফটওয়্যারের বিকল্প নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব তৈরি করছে, তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সফটওয়্যার তৈরিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বরাবরই এগিয়ে। এক্ষেত্রে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসতে পারে। এজন্য বেশি করে সফটওয়্যার মেলার আয়োজন করতে পারেন সংশ্লিষ্টরা। চাকরি মেলায় যারা নিবন্ধন করেন, তারা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা ও মান সম্পর্কে জানতে পারেন। প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের চাহিদামতো দক্ষ জনশক্তি এমন মেলা থেকে পেয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। এতে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক ধরনের মেলবন্ধন তৈরি হয়। এ ধরনের মেলার মাধ্যমে উভয় পক্ষের লক্ষ্য অর্জনে সময় ও অর্থ কম লাগায় তা পরস্পরের জন্যই সুবিধাজনক।

অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও অনলাইন ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে। অনলাইনে ব্যবসার জন্য প্রযুক্তি প্রসারের বিকল্প নেই। প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের ব্যবসারও প্রসার ঘটবে। এজন্য প্রযুক্তিপণ্যের সহজলভ্যতার ব্যবস্থা করতে হবে। কম মূল্যে এর সরবরাহের ওপর নজর দিতে পারেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যবসার অপরিহার্য শর্ত হলো ইন্টারনেটের ব্যবহার। দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং তা কম খরচে সবার কাছে পৌঁছাতে পারলে এ ব্যবসা সাফল্যলাভ করবে।

উল্লেখ্য, দেশে ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে রফতানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য দেশে ২০ লাখ দক্ষ আইটি পেশাজীবী গড়ে তোলা হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে শুধু রাজধানীতে এমন মেলার আয়োজন যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে এমন আইটি চাকরিবিষয়ক মেলা করা যায় কি না, ভাবা যেতে পারে। এজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আরও এগিয়ে আসতে পারে, যাতে প্রান্তিকের তরুণরাও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এমনটা সংশ্লিষ্টরা ভাববেন আশা করি।